পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তেঁতুলতলার ঘাট brs) গিয়েচে । সে রোগা মানুষ, মা নিশ্চয়ই তার জন্যে আগে করে রাখবে। আজ সে বেশ ভাল আছে, আজ আর জম্বর আসবে না । জর বোধ হয়। সেরে গেল । একটু একটু খুব সামান্য শীত বোধ হচ্চে, কিন্তু সেটা জ্বরের দরুন নয়। বর্ষাকাল, আর এই বনঝোপে তো রোদ পড়ে না। তাই, মণ্টরিও শীত করতো, যদি সে আজ এই বনে ঢুকতো। হারু কোপের বার হয়ে ছায়াবহুল সরু বনপথ ছেড়ে চওড়া রাস্তায় এসে দাড়ালো। এই চওড়া রাস্তা। ওদিকে নাকি কেষ্টনগর পর্য্যন্ত চলে গিয়েচে, বাবার মুখে সে শুনেচে । একসারি ধান বোঝাই গরুর গাভী মন্থর গতিতে আসচে ওদিক থেকে। হারু একটা পিটুলি গাছের তলায় আধ রোদ আব্ধ ছায়ায় বসে বসে গরুর গাড়ী দেখতে লাগলো । বোধহয় একটু বেশীক্ষণ বসা হয়ে গেল। যে সময় উঠবে ভেবেছিল, সে সময় ওঠা হোল না। রোদটা বেশ মিষ্টি লাগচে । না, জম্বর হয়নি তার । বর্ষাকালে রোদ সকলেরই ভাল লাগে । বাড়ীতে যখন সে পৌছলো, তখন বেলা বারোটা । হাতে তার গোটাকতক পিটুলি ফল। ওর মা বল্লে-ওম, ই কি কাণ্ড ! এই বলে গেলি খিদে পেয়েচে, আমি কখন রুটি করে বসে আছি। কোথায় ছিলি ? ভাল আছিস তো ? ーリー -cकांथांध छिनि ? --মাদার পাড়তে গিয়েছিলাম বোষ্টমদের বাগানে । -জ্বর হয়নি তো ? -R1 কিন্তু ওর কথার ধরণ আর চোখ মুখের ভাব ওর মায়ের কাছে ভালো বলে মনে হোল না । কাছে ডেকে বল্লে-তোর চোখ মুখ রাঙা দেখাচ্চে কেন রে ?