পাতা:অহল্যাবাঈ - মণিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98 অহল্যাবাঈ মাধব ।- তোমাদের কথাগুলো যেন প্রহেলিকার মতন ! প্রলয়ের মেঘ । অশান্তির ঝটিকা ! কি বলছোঁ-কিছু তো বুঝতে পারছি না। আর এতে আমি বা কি করতে পারি ? তুলসী।-আপনি যদি মনে করেন, আপনি যদি একটি বার অঙ্গুলি সঞ্চালন করেন, তাহলে আকাশের ওই রাশি কৃত মেঘমালা চক্ষের নিমিষে বাম্পের মতন অদৃশ্য হয়! ওই আসন্ন-ঝটিকা নিঃশব্দে আকাশে মিশে যায়। --দেশে নির্বিকার শান্তির প্রতিষ্ঠা হয়,-লক্ষ লক্ষ কোটি কোটী প্রজা প্রাণ ফিরে পায় ! মাধব ।-লক্ষ লক্ষ কোটী কোটী প্রজার প্রাণ নিয়ে এবার কথা কইছি, - তাহলে তো এ প্রহেলিকা নয় । বল-সত্য ক’বে বল-সমস্ত প্রকাশ ক’রে বলে ; কোন কথা গোপন ক’র না-ব্যাপার কি বল। তুলসী।-কি ব্যাপার-মহারাষ্ট্রে এখন কিসের ঝড় উঠছে, কি কুরুক্ষেত্রের আগুন জলবার উপক্রম হয়েছে, আপনি কি তা জানেন না মহারাজ ? নর্ম্মাদার দুই তীরে দুই প্রকাণ্ড উল্কাপিণ্ড ফুটে উঠেছে-লক্ষ লক্ষ লোক দুই পক্ষে রণরঙ্গে মেতে উঠেছে - এক দিকে শান্তিভঙ্গ কারী রাজ্যলোলুপ রাঘব দাদা,-অন্য দিকে ইন্দোরেশ্বরী করুণাময়ী মহাৱাণী অহল্যা ! মধ্যে ব্যবধান শুধু নর্ম্মাদার জলরাশি। সে জল এখনও কাল আছে, কিন্তু আর থাকবে নাঅসংখ্য সৈন্যের শোণিত আবে সে সলিল তরঙ্গে সারি সারি শোণিতের কোকনদ ফুটে উঠবে। অশান্তির আগুনে দেশ ছারখার হয়ে যাবে। বুঝতে পারছেন মহারাজ! কেন আমরা আপনার কাছে শান্তি ভিক্ষা করতে এসেছি ? মাধব।-একি অদ্ভুত কথা! নর্ম্মাদার এক তীরে আমার পিতৃব্য রাঘব দাদা, অন্যদিকে আমার পিতামহ তুল্য পূজ্য-স্বৰ্গীয় হোলকারের