পাতা:অহল্যা হড্‌ডিকার জীবন বৃত্তান্ত.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[... »•g ] ফরপুটে নিবেদন করিতে লাগিল, “মোগলরাজ! প্রারুতিক পিতৃস্নেহের বশতাপন্ন হইয়া সন্তান সন্ততি বিষয়ে পিতা মাতারা যেরূপ অমৃত অভিমান প্রকাশ করেন, আমি সেরূপ বলিতেছি না। আপনি আমার যে কন্যাকে পরমসুন্দরী বলিয়া একবার প্রশংসা করিয়াছিলেন, রাজআদরে আদরিণী হইয়া যে অস্থাপনকার নিকটে নিরন্তর থাকিতে বড় ভাল বাসিত, এ দীন হীনের কুটার পরিত্যাগ করিয়া আপনি রাজ্য প্রাপ্ত হইলে, ষে কামিনী সকলের সাক্ষাতে রাজস্নেহের কথা কহিয়| অত্যন্ত অতিমান প্রকাশ করিত, স্ত্রীলোকদিগকে যে সকল গুণে গুণান্বিত হইতে হয়, জগদীশ্বর আমার যে কন্যাকে সে সমুদায় গুণেই পরিভূষিত করিয়াছেন, যে দুহিতা আমার তাবৎ সাংস রিক মুখের ম{ষ্ণর স্বরূপ, দুই দিবস হইল সেই পরমসুন্দরী আমার তনয় এই সহরে অপহৃত হইয়ছে । স্বরূপ কহিতেছি মহারাজ ! তাহার বিরহে আমার অন্তঃকরণ এমনি বুঢ়াকুল হইয়াছে যে, তাহাকে ম’ পাইলে প্রাণধারণ করাও আমার পক্ষে সাতিশয় দুস্কর ৰুইয়া উঠিবে।” . . ভূপতি কহিলেন, “বন্ধে হড়িকবর ! তোমার একটা ৰাক্যও মিথ্য নহে, তোমার পরম মুন্দরী দুহিতাকে আমার উত্তমরূপ মনে হইতেছে, স্বর্গবিদ্যাধরীর ন্যায় তাহার রূপ, ইহা আমি অমানবদনে স্বীকার করিতে পারি। এক্ষণে কে তোমার সেই হৃদয়ের ধন’কন্যাটীকে বলপুর্ব্বক অপহরণ করিল ?. স্বরূপ বাক্যে আমার নিকটেপ্রকাশ করিয়া বল, সে যেখানে থাকুক এখনই আমি সনা পাঠাইয় তাহাৰুে রাজসভায় আনয়ন করিৰ।