পাতা:অহল্যা হড্‌ডিকার জীবন বৃত্তান্ত.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ > २ १ } কখন শিথিল ইইরে না । এক্ষণে তার বিলম্ব . করিবার আন্ধশ্যকতা নাই, অদ্যই আমাদের পরিণয় কর্ম্ম যথারিধানে সাধারণ সমীপে সমাধান করিতে হইবে । কদবুহ মহাশয় ,আমাকে যে কারাগৃহে রুদ্ধ করিয়াছিলেন, তাহ দুঃখের কারণ না হইয়। বরং বিপুল সুখের নিদান হইল। আহা কি আনন্দ অদ্য আমি ঐ স্থান ছুইতে বিমুক্ত টয় যাবজ্জীবন স্বর্ণময় সুখের শৃঙ্খলে পরিবদ্ধ হইলাম । এইরূপে অহল্যা কামিনী উজীর নন্দনেব আলিঙ্গন প্রাপ্ত হইয়া আপনাকে ধন্য বোধ করিল। তাহার পিতা মাতা উভয়েই প্রাণসম কন্যাটকে অতিশয় মুখী দেখিয়। অত্যন্ত আহলাদ প্রকাশ করিলেন । দুঃখপুর্ণ হড়িক انواعر পুরিবারের বাটা সে দিন অবধি মুখপূর্ণ হুইল। অনন্তর অহল্যার পিতা মাহোমেদ খাঁ রাজধানীর তাবৎ অমীরগণকে নিমন্ত্রণ করিয়; স্নানয়ম পুর্ব্বক সাতিশয় সমারোহে মন্ত্রিপুত্রের সহিত কন্যার বিবাহ দিলেন । মোগলাধিপতি হুমায়ন বাদসহ স্বয়ং সভামণ্ডপে অধ্যাসীন হইয়। বর কন্যাকে প্রথমতঃ আশীর্ব্বাদ স্বরূপ অঙ্গুলা যৌতুক প্রদান করিলেন । অনন্তর আর আর আমীরবর্গ যথাযোগ্য আশীর্ব্বাদ ও যৌতুক প্রদান পূর্ব্বক বরকন্যার পাণিগ্রহণ সম্পন্ন করিলেন । চর্ব্ব্য চেষ্য লেহ পেয়ু চতুর্ব্বিধ ভক্ষ্য দ্রব্য দ্বারা মহোমেদ ই সমাগত লোকদিগকে পরিতৃপ্ত করিয়া সমুচিত সম্মান পুর্ব্বক বিদায় করলেন। মন্ত্রিপুত্র এবং অহল্যামুন্দরী এইরূপে পরস্পর সংমিলিত হইয়। মনের আনন্দে পরম মুখে কালধাপন করিতে লাগিলেন ।