পাতা:অহল্যা হড্‌ডিকার জীবন বৃত্তান্ত.pdf/৪১

I 8: 1 পূর্ব্বে হড়িক মনে মনে স্থির করিয়াছিল, “অহল্যাঃ জন্য সদ্বংশোদ্ভর পাত্র যদি একান্তই কোন স্থানে না পাই, তবে কোন মতে প্রবোধ দিয়া গৌতমের সঙ্গেই তাহার বিবাহ দিতে পারিব, হড়িক জাতির মধ্যে এমন মুগুরুষ ও সুযোগ্য পাত্র নিতান্ত স্থলত”। কিন্তু এক্ষণে গোঁতমের মৃত্যু সংবাদ প্রাপ্ত হওয়াতে সে সকল আশাই বিফল হইল । তাছার অন্তঃকরণের মুখ স্বচ্ছন্দতা আর কিছুমাত্র রহিল না । সে মনে মনে ভাবিতে লাগিল, “যে কন্যাৱ গুণুের নিমিত্ত আমি সদা সর্ব্বদা লোকসমাজে ক্ষুভিমান করিয়া বেড়াই, এবং যাহার রূপে জগৎ মোহিত; যেই কনা སྭཱ་ཧཱ། আমার যাদৃশ শোক ন হইত, *ে)শুমের মরণে আমার তাদৃশ শোক হইয়াছে; এক্ষণে বোধ হইতেছে অহল্যার রূপ গুণ সকলই ব্লথ হইল। কি পরিভাপ ! . আহা! আমার ছুহিতাকে রক্ষা করিবার নিমিত্ত মে আপন প্রাণ পর্য্যন্ত বিনাশ করিয়াছে’ । , .ു . হড়িক মনে মনে এইরূপ নানাপ্রকায় শোফ ও পরিতাপ করিয়া, পরিশেষে, গৌতমের পিতা মাতার শোক । মিৰারণের মিমিত্ত তাহাদিগকে বহু অর্থ প্রদান করিল ৮ পরিমিতরূপে ব্যয় করিলে তাহারা ঐ ধনদ্বারা চিরকালী মুখে কাটাইতে পাব্লিবে । কিন্তু ধনের মুখ দেখিয়া ক্ষেই । কি পুত্রের মুখ বিস্কৃত হইতে পারে । উপযুক্ত পুত্রের শোকে গৌতমের জনক জননী তাবৎ সাংসারিক মুখে । জন্মের মত জলাঞ্জলি দিয়া ক্ষিপ্তের ন্যায় কালযাপন করিতে লাগিল। এক দিনরাত্রিকালে অহল্য নিদ্রাতুর হইয়া শয়ন করি বায় নিমিত্ত আপনার মনোহর পর্যান্ধে উপস্থিত হইল।