পাতা:অহল্যা হড্‌ডিকার জীবন বৃত্তান্ত.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8१ } প্রস্তর তাহীদের গলাতে বন্ধন করিয়া যদ্যপি কোন নদীর স্রোতে নিক্ষেপ করা যায়, তথাপি কোন মতেই তাহাদিগকে জলমধ্যে নিমগ্ন করা যায় না , । এই দুষ্ট কুহকিনী দিগকে ঐন্দ্রজালিক বিদ্যা বিষয়ে নিঃশক্তি করিবার নিমিত্ত লোহপিণ্ড দগ্ধ করিয়া তাহাদিগের দুই কর্ণে এবং সকল সন্ধিস্থানেই দাগ দিতে হয়, লবণদ্বারা তাহাদিগের চক্ষুদ্ব য় পূর্ণ করিতে হয়, মৃত্তিকার অধে:ভাগে গহ্বর করাইয় চল্লিশ দিন তন্মধ্যে তাহাদিকে বাস করাইতে হয়, পরে কত শতশত মন্ত্র পাঠ করিলে ঐ কুহকিনীদিগের কুহক-বিদ্যা নষ্ট হয়। এইরূপ নিঃশক্তি হইলে পর, উক্ত জিগরখারদিগকে লোকে দোচির বলিয়া থাকে । তখন উহারা পুর্ব্বৰৎ অন্যের কলিজা আর অপুহরণ করিতে পারে না । কিন্তু অনায়াসেই স্বজাতীয় অন্যান্য কুহকিনীদিগকে চিনিতে পারে। দোচিরাদিগের সাহায্যে কোন কোন স্ত্রীলোক মানবজাতির উপদ্রব-কারিণী জিগরখার, তাহ জানিতে পারা যায়। ঐ কুহকীর আরও অনেক প্রকার ঔষধ জানে, তদ,ার নানাবিধ রোগ উপশম হয, কিন্তু, মন্ত্র প্রয়োগ ল’ করিলে তাহাদিগের ঐ ঔষধ রোগীর পক্ষে বড় একটা ফলদায়ক হয়না । 豪 এবম্বিধ নানাপ্রকার অন্তত স্থান্ত ঐ সকল কুহকিনীদিগের বিষয়ে পশ্চিমখণ্ডের ইতিহাসলেখকের বর্ণন করিয়া গিয়াছেন । আর কেবল এতদেশীয় লোকেরাই এই ঐন্দ্রজালিক বিদ্যায় বিশ্বাস করিত এমত নহে, ইয়োরোপখণ্ডের অনেকানেক জাতিরাও ইহাতে বিশ্বাস করিয়া প্রাণ হারাইয়াছে। কিন্তু বিবেচনা করিয়া দেখিলে