পাতা:অহল্যা হড্‌ডিকার জীবন বৃত্তান্ত.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ... 1 কিরিও না, রজনীযোগে মাহীতে তোমার উত্তম মুৰুপ্তি হয় তাহার চেষ্টা করিবে। সকল বিষয়েই আমি তোমার পক্ষে শুভ চিকু দেখিতেছি। উৎকণ্ঠিত হইবার অবশ্যকত নাই। নিশ্চয় বোধ হইতেছে ভবিষ্যতে বিধাঙা তোমার বিশেষ মঙ্গল করিৰেন” । । * ডাকিনী সেই সর্ব্বাঙ্গশোভনাকে এই কথা বলিয়৷ কুকুরটাকে কহিল, “পার্ব্বতী ! অহল্যাকে সঙ্গে করিয়া আলোকে লইয়া ধাও ”। কর্ত্তীর আজ্ঞায় পার্ব্বতী তখন অন্ধকার হইতে প্রস্থান করিয়া আস্তে আস্তে প্রবেশস্থানের বাহিরে দণ্ডায়মান হইয় অলপ অলপ চীৎকার করিতে লাগিল । * * - ডাকিনী অহল্যাকে সম্বোধন করিয়া কহিল, “ওগো বাছা ! পার্ব্বতী তোমাকে ডাকিতেছে, তুমি আজি । যাও কালি আমি তোমাকে বাহুল্যরূপে তাবৎ বৃত্তান্তই শুনাইৰ । ভবিষ্যদ্বিষয় বলাতে বড় একট। সহজ কথা নহে, যে, ক্ষণ মাজেই তাহ আমি তোমাকে বলিয়া দিব । ষে ভাষায় ঐ গ্রন্থ বর্ণিত হইয়াছে পণ্ডিতলোক ব্যতিরেকে সামান্য ব্যক্তি তাহ ব্যাখ্যা করিতে পাক্সে না । যাহা হউক অধিক বাক্য ব্যয়ের প্রয়োজন নাই, কল্য তুমি অবশ্য ২ আসিবে। কিন্তু স্বর্ণমুদ্রা জানিতে যেন বিস্তৃত হইও না। কালচক্রের অন্তরে যে গোপন কথা আছে, তাহ দি নিতান্ত জানিবার বাসনা হয়, তৰে অবশ্যই তোমাকে বেতন দিতে হইবে"। জিগরধারের এইরূপ আশ্বাসৰচনে অহল্য৷ আর্যদিত হইয় প্রফুল্ল বদনে স্বভবনে প্রত্যাগমন করিল। কিন্তু কুহকিনীর ধনলোভ দেখিয়া অতিশয় বিরক্ত হুইল ।