পাতা:অহল্যা হড্‌ডিকার জীবন বৃত্তান্ত.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

曾冷 ভিতরে যে ধনাঢ্য ব্যক্তি উপবেশন করিয়াছিলেন, তিনি ব্যঞ্জসম্বন্ত হইয় তাহ হইতে অবরোহণ করিয়া, তাবৎ খ্রস্তান্ত জ্ঞাত হইলেন। অনন্তর বাহক দিগকে আজ্ঞ; করিলেন তোমরা এখানে ক্ষণকাল বিরাম কর, আমার সাহায্যে যদি কামিনীর কোন উপকার হয়, তবে সর্ব্বতোভাবে তাহার চেষ্টা করাই বিধেয় । । • বাহকদিগকে এই কথা বলিয়। ঐ ধনবান ব্যক্তি মনেমোহিনী অহল্যার নিকটে গমন করিয়া দেখেন, বালিকা ঘাতুনাতে বড়ই কাতর হইয়াছে । দিবা কন্যার ন্যায় তাহার সৌন্দর্য্য অবলোকন করিয়া তিনি বিস্ময়াপন্ন হইলেন, এবং করুণরিসে একেবারে আদ্র হইয়াগেলেন। অনন্তর ঐ ভদ্র মহাশয় সমীপবর্ত্তী লোকদিগকে জিজ্ঞাম; করিলেন, এ কামিনী কে ? ইহার পিত্রালয় কোথায় ? লোকমুখে তিনি নিজ প্রশ্নের উত্তর পাইয় আপন ধানবাহক দিগকে কহিলেন, “ তোমরা পলকীৰ ভিতরে এই> কোমলাঙ্গী কন্যাকে লইয়। ইহার পিত্র লিয়ে গমন কর, আমিও তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে পদব্রজে যাইতেছি ।” অহল্যার পিত হড়ি কবর বাটদ্বারে এক কালে বহু লোকের সমাগম দেখিয়া অতিশয় চমৎক্লত হইলেন । প্রাকৃতিক অপভ্যস্নেহ মকৃষ্যের অন্তঃকরণে বড়ই প্রবল থাকে। হঠাৎ তাহার মনে শঙ্কা হইল, কন্য। আমার বহিরে গিয়া ছিল, অবশ্যই কোন না কোন বিপদ ঘটিয়াছে । এই বিবেচনায় নিজ তনয়াম নিকট গমন করিয়া তাঁহাকে দেখিয়া অতিশয় বিলাপ করিতে লাগিলেন। পিতাকে কাতর দেখিয়া অহল্য তখন বিনয় বাক্যে কহিল, পিতঃ ! এত দুঃখ করিবার আবশ্যকতা নাই,