পাতা:অহল্যা হড্‌ডিকার জীবন বৃত্তান্ত.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f ૧૭ ] আমাদিগের মনোভীষ্ট শীঘ্র সম্পন্ন না হউক, ইহা স্পষ্ট প্রত্যক্ষ হইয়াছে ঐ যুবা পুরুষ আমাদিগের অহল্যাকে মনের সক্তিত অতিশয় ভাল বাসেন । এইরূপে কিছুদিন যায়, মন্ত্রিপুত্র প্রতিদিন অহল্যার বাটীতে আসিয়া হড়িকদিগের সহিত কথোপকথন করেন । কিজন যে তিনি যাতায়াত করেন, তাহা এহ্মণে অহল্যার পিতামাতা নিশ্চয় জানিতে পারিয়াছিল, এজন্য ঐ যুব পুরুষকে আসিতে দেখিলেই তাহার গোপন ভাবে থাকিত । ইহাতে অতিশয় নিভৃত স্থান প্লব্বাপেক্ষ ঐ নবীন প্রণয়ীদিগের আলাপ পরিচয় এবং গ্রেম অতিশয় বুদ্ধি পাইতে লাগিল । বিশিষ্ট রূপ বাক্যালাপ না হইলে কাহার কত বুদ্ধি তাহা শীঘ্র প্রকাশ পায় না । উক্লীরনন্দন সম্প্রতি অহল্যার সহিত নিৰ্জ্জুনে কথোপকথন করিয়; বুঝিঞ্জে পারিলেন, যে হড়িকতনয়ার অসীম বুদ্ধি, উত্তমরূপ বিদ্যা শিক্ষার অভাবে তাছা বড় মাজ্জিত হইতে পায় নাই । না হউক, কিন্তু অন্যান্য স্ত্রীজাতির মধ্যে এতাদৃশ বুদ্ধিশক্তি অতি বিরল। বিজাতীয় নীচ বংশে তাঙ্কার জন্ম হইয়াছে বলিয়। মুশিক্ষিত বিদ্যারসদ্ধার ঐ বুদ্ধি প্রকৃষ্ট রূপে প্রবল হইতে পারে নাই, নতুবা লোক সমাজে সে বিদ্যাবতী নামে অতিশয় বিখ্যাত হইতে ক্ষরিত। . ষাহাহউক অহল্যার দোষ কিছুমাত্র নাই । লোকে বিদার প্রতি অনাৰ্দর করিয়া প্রায় মৃর্থ হইয় থাকে, এই দোষ খণ্ডাইবার নিমিত্ত তীকুবুদ্ধি অহল্য মুন্দরী মনোযোগ পুর্ব্বঞ্চ বিদ্যাভ্যাসে প্রবৃত্ত হইবার মানস করিয়াছিল । পল্লিগ্রামের সকল স্থানেই এক একটি পাঠশাল।