পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
আখ্যানমঞ্জরী।

বিদায় লইতেছি। এই বলিয়া, সে প্রস্থান করিল। তিনিও তাহার দয়ায়, দাসত্বমুক্ত হইয়া, নির্বিঘ্ন, আপন বাসস্থানে উপস্থিত হইলেন, এবং সেই অসভ্যজাতীয় ব্যক্তির দয়া, সৌজন্য ও সদ্ব্যবহার দর্শনে, নিরতিশয় প্রীত ও চমৎকৃত হইয়া, মুক্তকণ্ঠে তাহার প্রশংসাকীর্ত্তন করিতে লাগিলেন।


প্রত্যুপকার।

সুপ্রসিদ্ধ রোম্ নগরে এগ্রিপ্পা নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। তাঁহার এক ভৃত্য, তৎকালীন সম্রাট্ টাইবিবিযসেব নিকটে গিয়া, এই অভিযোগ করিল, আমার প্রভু এগ্রিপ্পা, সতত, আপনকার, যার পর নাই, কুৎসাকার্ত্তন করিয়া থাকেন। সম্রাট্ শুনিয়া অতিশয় ক্রুদ্ধ হইলেন, এবং তাঁহাকে লৌহশৃঙ্খলে বদ্ধ করিয়া, রাজভবনের সম্মুখে দাঁড় করাইয়া রাখিতে আজ্ঞা দিলেন।

 গ্রীষ্মকালে, মধ্যাহ্ন সমযে, রৌদ্রে অধিকক্ষণ দাঁড়াইযা, এগ্রিপ্পা পিপাসায় অতিশয় কাতর হইলেন। সেই সময়ে, কেলিগুলা নামক এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির ভূত্য থমাষ্টস্, জলের কুজ লইযা, ঐ স্থান দিয়া, চলিয়া যাইতেছিল। তাহার হস্তে জলের কুজ দেখিয়া, পিপাসার্ত্ত