পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কৃতজ্ঞতার পুরস্কার।
৫৫

লোচনে, সাদর বচনে সম্ভাষণ করিয়া বলিলেন, তুমি যে এরূপ উচ্চ প্রকৃতির লোক, তাহা আমি পূর্ব্বে অবগত ছিলাম না। দুষ্টমতি দুরাচারদিগের বাক্য বিশ্বাস করিয়া, অকারণে তোমার প্রাণদণ্ড করিতে উদ্যত হইযাছিলাম। এক্ষণে, ইহার নিকট তোমার প্রকৃত পরিচয় পাইয়া, সাতিশয় প্রীতি প্রাপ্ত হইয়াছি। আমি অনুমতি দিতেছি, তুমি আপন আলয়ে প্রস্থান কর। এই বলিয়া, খলীফা, তাঁহাকে মহামূল্য পরিচ্ছদ, সুসজ্জিত দশ অশ্ব, দশ খচ্চর, দশ উষ্ট্র, উপহার দিলেন, এবং ডেমাস্কসের রাজপ্রতিনিধির নামে এক অনুরোধপত্র ও পাথেয় স্বরূপ বহুসংখ্যক অর্থ দিযা, তাঁহাকে বিদায় করিলেন।


কৃতজ্ঞতার পুরস্কার

 ইংলণ্ড দেশে, ফিটজউইলিযম্ নামে এক ব্যক্তি স্বীয় বুদ্ধি, ক্ষমতা ও পরিশ্রমের গুণে বিলক্ষণ অর্থোপার্জ্জন করিয়াছিলেন। তিনি অতিশয় কৃতজ্ঞ, দয়াশীল, তেজীয়ান্, ন্যায়পরায়ণ ও অকুতোভয় ছিলেন। সামান্য অবস্থার লোক হইয়াও, তিনি যে প্রভূত অর্থের উপার্জ্জনে সমর্থ হইয়াছিলেন, সর্ব্বপ্রধান রাজমন্ত্রী