পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সৌজন্য ও সদ্বিবেচনা

রোম নগরীতে বহুকাল অবধি এই প্রথা প্রচলিত ছিল, পাঁচ বৎসর অন্তর একটি সভা হইত। যে সকল ব্যক্তি কাব্যরচনা করিতেন, তাঁহাবা স্বরচিত কাব্য ঐ সভায় উপস্থিত করিতেন। যাঁহার কাব্য সর্ব্বোৎকৃষ্ট বলিয়া বিবেচিত হইত, তিনি সোণার মেডাল[১] ও হাতীর দাঁতের বীণা পুরস্কার পাইতেন।

 সুপ্রসিদ্ধ সম্রাট্ ট্রেজানের রাজত্বসময়ে অনেকের রচিত কাব্য পঞ্চবার্ষিক সভা সমর্পিত হইত। লুশিয়স্ বেলিরিয়স্ নামক এক ত্রযোদশবর্ষীয় বালক, একখানি কাব্য লিখিয়াছিলেন, সেই কাব্যখানিও ঐ সভায় সমর্পিত হইযাছিল। সভ্যদিগের বিবেচনায়, এই অল্পবয়স্ক বালকের রচিত কাব্যখানি, সে বৎসর সর্ব্বোৎকৃষ্ট বলিয়া স্থিরীকৃত হইল। সুতরাং তিনি নিরূপিত পুরস্কার প্রাপ্ত হইলেন।

 রোমীয়দিগেব এই রীতি ছিল, কোনও ব্যক্তি অসাধারণ গুণপ্রকাশ করিলে, লোকের উৎসাহবর্দ্ধনার্থে তদীয় ধাতুময়ী প্রতিমূর্ত্তি নির্ম্মিত করাইয়া, নগরের সর্ব্বাপেক্ষা প্রকাশ্য স্থানে স্থাপিত করিতেন। এই প্রতিমূর্ত্তির

  1. মেডাল—অসাধারণ গুণের পুরস্কারার্থে ধাতুনির্মিত মূদ্রাবিশেষ।