পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৮
আখ্যানমঞ্জরী

হইল। তখন তিনি, রাজপুরুষের হস্ত হইতে মুকুট লইয়া, স্বীয় প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্মুখবর্ত্তী হইয়া বলিলেন, দেখুন, আপনি যে কাব্যের রচনা করিয়াছেন, তাহা সর্ব্বোৎকৃষ্ট হইয়াছে, তাহার সন্দেহ নাই, সুতরাং, আপনিই পুরস্কার পাইবার যথার্থ যোগ্য পাত্র। কিন্তু, আমার বয়স অতি অল্প, এত অল্প বয়সে কাব্যরচনা করিতে পারিয়াছি, এজন্য, বিচারকেরা আমার উৎসাহবর্দ্ধনের নিমিত্ত, আমায় পুরস্কার দিয়াছেন, গুণ অনুসারে, বিবেচনা করিলে, আপনকারই পুরস্কার পাওয়া উচিত।

 এইরূপ বলিয়া, সেই বালক আপন প্রাপ্য মুকুট, হর্ষোৎফুল্ল লোচনে, প্রীতিপ্রফুল্ল বদনে, স্বীয় প্রতিদ্বন্দ্বীর মস্তকে স্থাপিত করিলেন। সমবেত সমস্ত লোক ত্রয়োদশবর্ষীয় বালকের ঈদৃশ অদৃষ্টচর ও অশ্রুতপূর্ব্ব সৌজন্য ও সদ্বিবেচনা দর্শনে, মোহিত ও চমৎকৃত হইয়া, মুক্তকণ্ঠে তাঁহার প্রশংসা কীর্ত্তন করিতে লাগিলেন।

দোষস্বীকারের ফল

একদা, জর্ম্মনি দেশের কোনও রাজা ফ্রান্স্‌দেশে পর্য্যটন করিতে গিয়াছিলেন। এই দেশে টুলো নামক স্থানে, সৈন্যসংক্রান্ত অস্ত্রশালা ছিল। একদিন, তিনি, অস্ত্রশালা