পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (প্রথম ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাধুতার পুরস্কার।
৩৯

 যে সকল স্ত্রীলোক, হাস্পাতালে গিয়া, রোগীদের পরিচর্য্যা করে, তাহারা কিছু কিছু পাইয়া থাকে। লা ব্লোন্দ, দিবাভাগে, মিজিয়নের পত্নীর শুশ্রূষা করিত, এবং তাহাদের ব্যয় নির্ব্বাহ করিবার নিমিত্ত, রজনীতে হাস্পাতালে গিয়া, রোগীর পরিচর্য্যায় নিযুক্ত হইত।

 ১৭৮৭ খৃষ্টাব্দের, এপ্রিল মাসের শেষভাগে, মিজিয়নের পত্নীর মৃত্যু হইল। পারিস নগরে, অনাথ বালক বালিকাদিগের ভরণপোষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের নিমিত্ত, দীনাশ্রয় নামে স্থান আছে। কেহ কেহ লা ব্লোন্দকে এই পরামর্শ দিল, অতঃপর তুমি এই দুটি শিশুকে দীনাশ্রয়ে পাঠাইয়া দাও। সে এই প্রস্তাবে অত্যন্ত রোষ ও ঘৃণা প্রদর্শন করিয়া কহিল, আমি ইহাদিগকে কখনও পরিত্যাগ করিতে পারিব না, ইহাদিগকে আমার বাসস্থানে লইয়া যাইব, আমার যে দুই শত ফ্রাঙ্ক আয় আছে, সেখানে থাকিলে, তদ্দ্বারা আমার নিজের ও ইহাদের ভরণপোষণ অনায়াসে সম্পন্ন হইবে।


সাধুতার পুরস্কার।

 পারিস নগরে এক ব্যক্তি অতি দরিদ্র ছিলেন। তিনি বহু কষ্টে দিনপাত করিতেন। সুজেট্‌ নামে এক তরুণী ভ্রাতৃতনয়া ব্যতিরিক্ত তাঁহার কেহই ছিল না। এই ভ্রাতৃকন্যা অতি সুশীলা ও সচ্চরিত্রা ছিল এবং আপন পিতৃব্যকে অত্যন্ত স্নেহ ও