পাতা:আগামীকাল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তরসারীরা আমাদের সংগ্রামের ফল ভোগ করবে। আগামীকালের নারীরা ভোগ করবে। শোষণহীন, বঞ্চনাহীন ও নিপীড়নহীন সখী জীবন। নারীত্বের পােশ মযাদা आgङ धन्म] ३द 1 এই ত গেল একটা দিক। আবার অন্য আরও বহু কতব্য আমাদের সামনে রয়েছে যার ফলে সমাজকে সন্দর, করে সাজিয়ে তোলা সম্ভব। আমাদের সঠিক প্রয়াসে যে সখী সমাজ গড়ে উঠতে পারে তাকে অনায়াসেই সমগ্র ভারতবর্ষের কাছে দীঘটান্তস্বরূপ করে তুলতে পারি। আমরা নারী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা ত্রিশটা মৌজা ঘরে যে চিত্র দেখেছি তার একটি সংক্ষিপ্ত বাস্তব চিত্র আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। দশটি মৌজা মিলে একটা মাত্র পাঠশালা রয়েছে। ঘর বলতে বাঁশ মাটিতে ঘেরা কিছুটা জায়গামাত্র । নামেই স্কুল-বাড়ি। বসবার বেঞ্চের ত প্রশনই ওঠে না, এমনকি সামান্য ব্লাক-বোর্ড বা অন্যান্য উপকরণের নাম গন্ধও নেই। ছাত্ররা নিজেরাই যে, যার বাড়ি থেকে তালপাতার চাটাই নিয়ে আসে। ত্রিশটা মৌজায় প্রাথমিক শিক্ষা পেয়েছে মোট দশ পঞ্চাশ জন , ম্যাট্রিকের iiuS BBBD K Et BDY LYB D0ESYDS D DBDDBY S DuDuBLS অঞ্চলের মধ্যে দটাে মাত্র মেয়ে ম্যাট্রিকের চৌকাঠ ডিঙোতে পেরেছে। লোক গণনার হিসেবে দেখা যায় ত্রিশটি মৌজার মোট লোক সংখ্যা পাঁচ হাজার। এই যদি গ্রামের চিত্র হয় তবে কি এটা আমাদের কাছে লােজা ও পরিতাপের বিষয় নয় ? রাস্তাঘাটের শোচনীয় অবস্থার কথা আশা করি আপনাদের কাছে বিস্তারিত আলোচনা করা নিম্প্রয়োজন। আর দেখেছি, যেখানে সেখানে এদো পাকুর আর ডোবা, কচুরীপানায় জন্য যাদের জলের অস্তিত্বটি কুও চোখে পড়ে না। ম্যালেরিয়ার রোগজীবানবাহী মশার নিশ্চিমত বাসস্থল এই সব জলাশয় । পনের মাইলের মধ্যে কোন হাসপাতালও নেই-ই, এমন কি একটা প্রাথমিক অবাস্থ্যকেন্দ্রও নেই যেখানে আমার মা-বোনদের প্রসবকাল সম্পন্ন হওয়া সম্ভব। জন্মনিয়ন্ত্রণের কথা গ্রামের মানষে ভাবতেই পারে না। অন্ততঃ দশ-বারোটি করে সন্তানের জন্ম দিয়ে মহিলাদের প্রায় প্রত্যেকেই অপটি রোগের শিকার হয়ে ধ’কছেন। মায়ের মত শিশদের অবস্থাও শোচনীয়। চোখ কোটরাগত, পলীহাময় দেহ উদর সব স্য, মাথাটা অস্বাভাবিক রকম বঙ, হাত-পা কাঠি কাঠি । স্বামী ত্যাগিনী কোন নারীই ত্রিশটা মৌজার মধ্যে নেই। কিন্তু একাধিক, সত্রী ধত মান এনন পরিষেব সংখ্যা অন্ততঃ পাঁচশ জন। মসলমান অধিবাসীদের সংখ্যা অবশ্য স্বতন্ত্র। কিন্তু মজার ব্যাপার হচেছ, শতকরা পচানব্রবই জনেরই নিজের একতিলও জমি জিরাত নেই, অন্যের জমিতে কাজ করে কোনরকমে পিতৃদত্ত জীবনটাকে টিকিয়ে রেখেছে মাত্র । তা-ও আবার বছরের মধ্যে ছ’মােসই কাজ থাকে না । কুঁটির শিল্প গড়ে তুলতে পারলে কোন রকমে নন-ভাতের যোগার হতে পারত। আমাদের নারী-কল্যাণ-সমিতিকে সমাজের সাবিক উন্নয়নের কম সাচী গ্রহণ করতে 6