পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র এত বড় কারখানা চালাতে পারছেন। আর যে সকল রাসায়নিক এই কারখানায় নিযুক্ত আছেন, তঁরা সকলেই ডাক্তার রায়ের ছাত্র-এম, এস-সি পাশ করে।” এই দেশী কারবারে যোগ দিয়েছেন। একবার বেঙ্গল কেমিক্যাল কারখানায় সিরাপ তৈয়ার করবার সময় Formula কি ভুল হয়ে যায়। তাতে সিরাপ খারাপ হয়ে যায়, প্রায় ১৫০,২০০ বোতল সিরাপ একটু নষ্ট হয়ে যায়। তখন কথা উঠল-এখন কি করা যায় ? কোন কোন রাসায়নিক বল্লেন, ঃ-“এতে আর কি হবে ? এই সিরাপই থাকুক-বাজারে চলে’ যাবেখন।” ডাক্তার রায় এতে রাজী হলেন না, বল্লেন-“দেখুন, এ সামান্য ক’টা টাকার চেয়ে বেঙ্গল কেমিক্যালের সুনামের দাম অনেক বেশী। এই খারাপ জিনিষের দরুণ যদি বাজারে একবার আমাদের নাম খারাপ হয়ে যায়, তবে সে নাম ফিরে লাভ করতে অনেক দিন যাবে।” তখন তিনি নিজে দাড়িয়ে সেই সব সিরাপ ফেলে দিলেন । তাই বলতে হয় বেঙ্গল কেমিক্যালের বাজারে আজ যে এত সুনাম তার মূলে ডাক্তার রায়ের সততা । যখন ডাক্তার রায় দেখলেন যে, কারবারে বেশ লাভ হচ্ছে-তখন লাভের অংশ কেবল নিজে না নিয়ে, যাতে مي