পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র মনস্থ করেন। কিন্তু কাজ আরম্ভ করে দেখেন যে কাজে কত বাধা-বিন্ন। সে কথা তিনি নিজে বলেছেন -“যখন আমি স্বতঃপ্রণোদিত হইয়া ঐ কার্যো হস্তক্ষেপ করিলাম, তখন আমার মনে নানা দ্বিধা উপস্থিত হইয়াছিল তাহা স্বীকার করি । কারণ আমার ভয় হইয়াছিল যে তথ্যগুলি বুঝি অতি সামান্য ও ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত। যাহা হউক আমি পূর্ণ উদ্যমে কার্য্যে প্রবৃত্ত হইলাম। কিন্তু কার্য্যক্ষেত্রে যতই অগ্রসর হইতে লাগিলাম, ততই পুরাতন কীটদষ্ট রসায়নশাস্ত্রের পুথির প্রাচুর্য্য দেখিয়া বিস্মিত হইলাম। “মাদ্রাজ, তাঞ্জোর, আনোওয়ার, বারাণসী, কাটামুণ্ডু (নেপাল) প্রভৃতি স্থান হইতে ঐ সকল পুথি আসিতে লাগিল। এমন কি তিব্বত হইতেও তেজুর নামে এক বহুমূল্য গ্রন্থ পাইয়াছিলাম। ১৯০৪৷৫ খ্রীষ্টাব্দে যখন লাসা কিছুদিনের জন্য ইংরাজ কর্তৃক অধিকৃত হইয়াছিল, সেই সময় ভারতীয় সর্ববিদ্যাবিষয়ক ঐ গ্রন্থ এই দেশে আসে ।” এই অমূল্য বইখানি তিব্বত থেকে পাওয়াতে ডাক্তার রায়ের গবেষণার অনেক সুবিধা হল । বার বছর ধরে যে গবেষণায় মত্ত রয়েছেন-সেই গবেষণা যে ক্রমশঃ শেষ হয়ে আসছে - এই ভেবে তিনি বড়ই খুলী হয়েছিলেন 《° Οι