পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র জীবনে বাংলা ভাষায় কোন বই লেখেন নি। যে বইখানি হাতে করে তিনি বাংলা সাহিত্যের আসরে প্রবেশ করলেন -সেখানি হচ্ছে-“প্রাণী-বিজ্ঞান ।” বিজ্ঞানের দিক থেকে, বৈজ্ঞানিক হিসাবে মাতৃভাষাকে এখনি তঁর প্রথম দান। সে-দান মাতৃভাষা সাদরে গ্রহণ করেছিলেন বল্লে অত্যুক্তি হবে না। এই বই সম্বন্ধে তিনি লিখেছেন :- “ছেলেদের চিড়িয়াখানায় নিয়ে গেলে জীব-জন্তু সম্বন্ধে কৌতুহল হতে পারে এই ভেবে একখানা ছােট “প্রাণীবিজ্ঞান” লিখেছিলাম। কিন্তু বইখানা কয়েক বৎসর পড়ে রইলো, কাটতি হল না। কিছুকাল পরে জানি না কেন, সেখান টেক্সটু বুক কমিটীর অনুমোদিত হয়ে গেল। একজন ইন্সপেক্টর পূর্ব বাংলার একটী অঞ্চলের জন্য সেখানা পাঠ্য পুস্তকরূপে নির্দিষ্ট করে দিলে; ব্যস, এক নিঃশ্বাসে সব বই বিক্রী হয়ে গেল।” তারপর বোধ হয়। বইখানা আর ছাপা হয় নি-সেজন্য বাজারে এখন বইটী পাওয়া যায় না। তঁর দ্বিতীয় বই-“বাঙালীর মস্তিষ্ক ও তাহার অপব্যবহার” বাংলার শিক্ষিত সমাজে একটা যে বিরাট চাফল্যের সৃষ্টি করেছিল-ত শিক্ষিত মাত্রেই জানেন। তিনি দিব্যদৃষ্টিতে দেখেছিলেন যে বাঙালীর প্রতিভা আছে, e