পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র শিক্ষা ও জ্ঞানের সহিত ধীরে ধীরে ফুটিয়া উঠিতেছিল, যে হইতেছিল, তাহা অত্যন্ত্রর কালেই বিনষ্ট হইবার পথে আসিল। এই বিলোপের কারণ শাস্ত্রকারগণের কঠোর আদেশ ।” এর ফল যে কি ভীষণ হল, তা ডাক্তার রায় বেশ স্পষ্টভাবে বলেছেন-“হিন্দুর যাহা কিছু তাহাই শ্রেষ্ঠ, হিন্দু ভিন্ন সকল জাতি মেচ্ছ ও বর্বর, তাহাদের নিকট আমাদের কিছুই শিখিবার নাই, এই প্রকার সংস্কারসকল যে দিন আমাদের জাতীয় চরিত্রে প্রবল অধিকার স্থাপন করিল, সেই দিন হইতে আমাদের উন্নতির মাৰ্গ কণ্টকিত হইল। সেই দিন হইতে হিন্দুজাতি কুপমণ্ডকে হইল, অহঙ্কার ও আত্মাদরে সম্বকীত হইয়া জগতের শিক্ষা ও জগতের দীক্ষা তৃণজ্ঞান করিয়া অলক্ষিতভাবে অবনতির গভীর পঙ্কে নিমজ্জিত হইল।” যখন সে পুরাতন যুগ চলে গেল, যখন তার স্থানে নতুনের আবির্ভাব হল তখন “বাঙালীর এক সুযোগ আসিয়া উপস্থিত” হল । কিন্তু বাঙালী সে সুযোগকে পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারে নি-তার মস্তিষ্কের অপব্যবহারের দরুণ সে সুযোগও হেলায় হারিয়েছিল । ዓ8