পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র সেই কথা আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র বলেছেন- “এই সময়ে বাঙালী কেরাণীর সৃষ্টি ইংরাজ বণিক প্রজাপতির কৃপায় আরম্ভ হইল। ইংরাজ বণিক বাঙালীর সহায়তা ভিন্ন ব্যবসায় চালাইতে পারিতেন না ; ক্রয় বিক্রয় আদান প্রদান প্রথমতঃ প্রায় সমস্তই বাঙালী কেরাণীর হাত দিয়াই হইত। অনেক নিরক্ষর হোসের মুৎসুদিরা এই সুযোগে ক্রোড়পতি হইয়া পড়িলেন। কিন্তু অশিক্ষিতের হাতে বিপুল ঐশ্বর্য্যের আগমনে যাহা ঘটিবার তাঁহাই ঘটিতে লাগিল। ইন্দ্রিয়ের প্রবল প্ররোচনায় ও স্বাচ্ছন্দ্যের বাতাসে বিলাসিতার আগুন দাউ দাউ করিয়া জ্বলিয়া উঠিল-কর্ম্মক্ষম হইয়াও বাঙালী স্বাধীন ব্যবসার দ্বারা স্বাধীন জীবিকা অৰ্জন করিতে অক্ষম হইয়া পড়িলেন। ইত্যবসরে গুজরাট, রাজপুতানা (বিকানীর) ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলবাসিগণ বীকে বাকে আসিয়া সমস্ত ব্যবসা দখল করিতে লাগিলেন, আর বাঙালী ধ্রুবতারার ন্যায় কেরাণীগিরি লক্ষ্য করিয়া ইংরাজী শিখিতে লাগিলেন।” এই রকমে বাঙালী কেরাণীগিরিতে তার প্রতিভার, তার মস্তিষ্কের অপব্যবহার করেছে বলে-আজ এক বিরাট অন্নসমস্যা বাঙালীর সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে । যখন এই বইখানা প্রথম বেরুল, তখন গোড়া “ክ¢