পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্নসমস্যা \్సు ত প্রসারিত হয়নি, আর আমাদের উদ্দেশু শিল্প বা বাণিজ্যশিক্ষা এরূপও ভ মনে হয় না। কাজেই শিক্ষালাভের এই আগ্রহকে ঠিক পথে পরিচালিত করলে দেশের উপকার হবে, শুধু চাকরীপ্রিয় গ্রাজুয়েটু তৈরী করলে কোন কাজে লাগবে না । g # আত্মাভিমানের বশে বাঙলার উচ্চজাতি শ্রমের মর্য্যাদা ক্রমশঃ ভূলে গিয়ে ব্যবুসা বাণিজ্যাদি কাজ থেকে অবসর নিলেন। এদিকে লেখাপড় তাদেরই একচেটিয়া ছিল। কাজেই সমাজে এক ভীষণ অনিষ্ট সাধিত হ’ল। শিক্ষাদীক্ষার সহিত ব্যবস বা শিল্পের ੋੜ কোন সম্পর্কই রইল ন। আমাদের সমাজে বিদ্যাবুদ্ধি সব উচু জাত্তের । সমাজের নিম্নস্তরে দলিত জনসঙ্ঘের মধ্যে তাই প্রতিভার বিকাশ হ’ল ন । ইংলণ্ডে ষ্টিম এপ্লিন উদ্ভাবনের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পব্যাপারে, একটা ওলটপালট-একটা যুগ পরিবর্তন হয়ে গেল। . হাতে যারা তাত চালাত সেই সব তাতীর প্রথমে কলের র্তাত ভেঙে দিলে । কারণ কলে অল্প পরিশ্রমে অনেক কাজ হতে লাগল। কিন্তু ইংলণ্ড শীঘ্রই সে ধাক্কা সামলে নিতে সমর্থ হল । গোলমাল ক্রমে থেমে গেল । ইংলণ্ডে জাতিভেদ ছিল না—লক্ষ , লক্ষ লোককে সেখানে নীচ জাত ব’লে অসুবিধা ও নির্য্যাতন ভোগ করতে হত না। তাই সেখানে সমাজের সকল স্তরেই প্রতিভার বিকাশ হয়েছে। তাই ক্রমে দেখা গেল শিল্পজগতের সেই পরিবর্তনের যুগে নাপিত আর্করাইট—যিনি এক পেনি পারিশ্রমিক নিয়ে ক্ষৌরকর্ঘ্য করতেন--তিনি হোলেন আবিষ্কারক। আর তাতি (Hargreaves) হারগ্রিভসও তার নব আবিষ্কারের দ্বারা এই কার্যের সহায়তা করলেন। সৈ দেশে সকলেরই প্রতিভা সকল ক্ষেত্রে স্কুরিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই জাতিভেদের দেশে? এখানে উচু জাত যেদিন জাত বঁাচাবার জন্যে ৬৪ কলাবিদ্যা একে একে পরিত্যাগ করলেন, সেদিন