বেড়ে গেল। শেষে বাঙলার স্বদেশী আন্দোলনের সময় ত তাঁদের একেবারে পৌষমাস! তাঁরা শতকরা ৭০।৭৫ টাকা লাভ পেলেন। কিন্তু স্বদেশীর উত্তেজনার সময়েও বাঙ্লা দেশ কিছু কর্তে পার্লে না। বাঙালী কল কিনে বসল ৬ লাখের স্থানে ১২ লাখ দিয়ে। কিন্তু কল চালাতে হয় কি ক’রে তার খবর সর্ব্বাগ্রে না রাখায় সুফল হল না। ‘বঙ্গলক্ষ্মী’র কি দশা সে সময় হয়েছিল সে কথা কারো অবিদিত নেই। আমাদের তখন শিক্ষালাভ হ’ল যে শুধু বক্তৃতার উত্তেজনা বা ভাবোচ্ছ্বাসের উপর নির্ভর করে শিল্পোন্নতি হয় না। যাহোক, এখন সুখের বিষয় এই যে যুদ্ধের বাজারে তবু ‘বঙ্গলক্ষ্মী’ একটু মাথা খাড়া ক’রে দাঁড়িয়েছেন,
এখন বম্বে ও কল্কাতা একবার তুলনা ক’রে দেখুন। বম্বের ধন বোম্বাইবাসীর; কিন্তু কল্কাতার অর্থসম্পত্তি বাঙালীর নয়—ইংরেজ মাড়োয়ারী, ভাটিয়া বা দিল্লীওয়ালা মুসলমানের। মান্দ্রাজের Black Town, কল্কাতার Native quarter—এ সব কাল আদ্মীর পাড়া—বন্ধ, অন্ধকার, স্যাঁৎস্যেতে,—গলির গলি তস্য গলি এঁদো গলি। আর শ্বেতাঙ্গ যেখানে থাকেন সে একেবারে ইন্দ্রপুরী। কিন্তু বোম্বাই এ তা নয়। সেখানে বড় বড় প্রাসাদতুল্য অট্টালিকায় বোম্বাইবাসী ধনকুবের, ক্রোড়পতি বণিক, কাপড় কলের মালিক প্রভৃতি মহাধনী বাস করেন। মোরারজি গোকুলদাস, স্যর্ বিটলদাস ঠাকর্সে, স্যর দোরাব তাতা—এঁরা সব বোম্বাইএর তথা ভারতবর্ষের মুখ উজ্জ্বল করেছেন—য়ুরোপীয় প্রতিযোগিতার সম্মুখে ব্যবসায়-বাণিজ্যে উচ্চশির হয়ে দাঁড়াবার শক্তি এঁদের আছে—বাহাদুরী সেইখানে। ইংলণ্ড থেকে ফিরে আসবার সময়—পি এণ্ড ও ষ্টীমারে একজন বম্বের মুসলমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। পরস্পরের মুখের দিকে কয়েকবার চেয়ে দেখবার পর