ছেলেরা সবাই দেশে যায়। আমিও আমার দেশে যাই। দেশে গিয়ে দেখি ছুটি পেয়ে ছেলেরা এলিয়ে পড়ে। রাত্রে ৮।১০ ঘণ্টা ঘুম দেবার পর আবার মধ্যাহ্নে বারোটা থেকে তিনটা পর্য্যন্ত নিদ্রা। আর বাকী সময়টা তাসপাশা ও আড্ডায় কেটে যায়। অলস হলে লক্ষ্মীছাড়া হতে হয়। এই নিদ্রা ও চপলতায় যে সময়টা নষ্ট হয় সেই সময়টার সদ্ব্যবহার করিবার দায়িত্ববোধ জন্মান দরকার। নিদ্রা ও আলস্য ত্যাগ ক’রে ছাত্রেরা দেশের নানাস্থান দেখে শুনে সময়টা কাজে লাগাতে পারে। এরূপে দেশের সকল স্থান ও সকল প্রকার লোকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয় লাভ হয়। আর কোথায় কি ভাবে কত বিভিন্ন প্রকার দ্রব্য উৎপন্ন হয় এবং কত লোকের হাত দিয়ে কত প্রকারে ঐসকল উৎপন্ন দ্রব্য নানাস্থানে চ’লে যায় তার সন্ধান পাওয়া যায়। বেশ সুনিপুণভাবে এই সকলের সংবাদ রাখলে অনেক অভিজ্ঞতা লাভ হবে এবং চাক্রী ছাড়া ‘নান্যঃপন্থা’ এই ভ্রম ঘুচে গিয়ে অন্নসংস্থানের অনেক নূতন পথ চোখের সুমুখে খুলে যাবে। এই সব অনুসন্ধানের ফলে দেশের কোথায় কোন্ বিদেশী বণিক টাকা দাদন দিয়ে উৎপন্ন দ্রব্য কৌশলে আপন হাতে এনে ফেল্চেন তারও যথার্থ খবর নিশ্চয়ই আস্বে।
আমার অনেক ছাত্র রসায়ন-শাস্ত্রে এম্এ, বা এম্-এস্সি পাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে চার পাঁচ জনে মিলে চক্রবর্ত্তী চাটাজ্জি কোম্পানী নাম দিয়ে একখানা পুস্তকের দোকান খুলেছেন। সে দোকান আজ বেশ চলেছে। এঁরা কয়েক শত টাকা মাত্র মূলধন নিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করেন। এঁরা বাধা কি পাচ্ছেন না? খুবই পাচ্ছেন। কিন্তু এঁদের জিদ্ আছে—প্রতিজ্ঞা খুব দৃঢ়। এঁরা বলেন, “আমরা কৃতকার্য্য হবই হব।” তাই আজ শুধু বই নয় অন্যান্য অনেক বিষয়ে এঁদের লোক নূতন নূতন ব্যবসার পত্তন কর্ছেন। এ সকল স্বপ্নের