কথা নয়—অনেকেই উৎসাহ ও অধ্যবসায়ের সহিত চেষ্টা ক’রে এইরূপ কৃতকার্য্য হয়েছেন
ব্যবসায়ে চাই কি? চাই ধৈর্য্য, চাই সাধুতা। আরম্ভ সামান্যভাবে হবে বটে, কিন্তু এই সামান্যের মধ্যে সফলতার বীজ নিহিত আছে। একেবারেই কেহ খুব বড় হয়ে উঠ্তে পারে না; আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া সম্ভব নয়। কার্ণেগী বাল্যকালে সর্ব্বপ্রথম রাস্তায় খবরের কাগজ বেচ্তেন! স্যর দোরাবজী তাতা—যাঁর লোহার কারখানায় আজ লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ হচ্ছে—তিনি একবার বলেছিলেন যে তাঁর ম্যানেজার মিঃ তুৎউইলার সংসারপথে প্রবেশ ক’রে প্রথমে নিগ্রো জুড়ীদারের সঙ্গে এঞ্জিনে কয়লা ঢালতেন। আর ধৈর্য্য অধ্যবসায়ের বলে আজ তিনি কত টাকা উপার্জ্জন কর্ছেন। মাড়োয়ারী এক পয়সার ছাতু খেয়ে পিঠে কাপড়ের বস্তা ফেলে ব্যবসায়ে প্রথম চেষ্টা আরম্ভ করে। পরে তারাই লক্ষপতি হয়ে দাঁড়ায়। আর একটা দোকান কর্তে গেলেই তোমাদের প্রথমে চাই বড় বড় আল্মারি টেবিল। ২৭।২৮ বৎসর পূর্ব্বে আমি যখন ‘বেঙ্গল কেমিক্যাল’ আরম্ভ করি তখন কুলীর মত খেটেছিলাম। কয়েক বৎসরের মাহিনা থেকে ৮০০৲ টাকা জমিয়ে ‘বেঙ্গল কেমিক্যাল’ আরম্ভ করি—আজ তার মূলধন ২৫ লক্ষ টাকা।
তারপর বাঙালী কখনও অংশীদারীতে কাজ কর্তে পারে না। বাঙালীর দুর্ভাগ্য যে, যদি সে অংশীদার নিয়ে কাজ আরম্ভ করে তবে অনেক সময় হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়ায়—কাজ শিখে নিয়ে অংশীদার পালায়। পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসের অভাবে যৌথ কারবারেও বাঙালীর চেষ্টা সফল হয় না। এটা হচ্ছে আমাদের জাতীয় দোষ। কোন গ্রাজুয়েটকে অংশীদার হবার জন্যে অনুরোধ কর্লে তিনি আগে বলেন—‘কত মাহিনা দিতে পার?’ বাঁধা মাহিনা আমাদের চাইই। কাউকেও