যদি বলা যায়—‘তোমায় ৫০৲ মাহিনা দেব আর সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্য্যন্ত খাটতে হবে’—সে একেবারে মহাখুসী হয়ে যায়। ঘড়ি ধ’রে ১২ ঘণ্টা কলের মত কাজ ক’রে যায়। কিন্তু এম্নি ক’রে চাক্রীকে আঁক্ড়ে না ধ’রে যদি সে প্রথম কয়টা বৎসর কোন ইংরেজ মাড়োয়ারী বা বাঙালীর দোকানে শিক্ষানবিশী করে এবং বাজার ঘুরে নানা তথ্য সংগ্রহ করে তবে ভবিষ্যতে সে ব্যবসায় ক্ষেত্রে বেশ কাজের লোক হয়ে দাঁড়ায়। প্রথম প্রথম পয়সা-কড়ি হয়ত আস্বে না, কিন্তু বি-এ বা এম-এ ও তৎপরে বি-এল পাশ কর্তে যে ৬।৭ বৎসর সময় লাগে সে সময়েও ত ছেলে বাড়ীর খায় আর বাড়ীর টাকা খরচ ক’রে পড়াশোনা করে। এখন ডিগ্রির প্রভাবে যখন অতি সামান্য চাকরী ছাড়া আর কিছু মেলে না তখন ম্যাট্রিকুলেশনের পর বাড়ীর খেয়ে ছেলে ত ২।৩ বৎসর ইউনিভার্সিটিতে না হোক কল্কাতার ক্যানিং স্ট্রীট, ক্লাইভ ষ্ট্রীট, বড়বাজার প্রভৃতি স্থানে একটা নূতন শিক্ষা লাভ করতে পারে। তবে এই শিক্ষা পাবার সুবিধা কর্তে হ’লে কোনো দোকানে শিক্ষানবীশ হয়ে প্রবেশ কর্তে হয়। এইরূপ প্রবেশলাভের সুবিধার জন্যে নানাভাবে চেষ্টা করা উচিত। ভবিষ্যতে এসব চেষ্টার সার্থকতা আছেই।
আমরা একে ত মিলেমিশে কোন কাজ কর্তে পারি না, তার উপর আমাদের অনেকে প্রথম উদ্যমে ব্যবসায়ে প্রবেশ ক’রে অল্পদিনের মধ্যে সফলতা লাভের জন্য অধীর হয়ে উঠেন। আর যদি প্রথমে কিছু লোকসান হয় ত অমনি ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে হা চাকরী হা চাকরী ক’রে বেড়ান! কিন্তু স্থিরভাবে লেগে থাকতে না পারলে ব্যবসায় ক্ষেত্রে সফলতা লাভের আশা দুরাশা মাত্র। তাঁরা বোঝেন না যে লোকসান দিয়ে তাঁরা বরং দক্ষ হলেন। আসল মাঝি সেই, যে পদ্মা পার হয়েছে, মাথার উপর দিয়ে যার অনেক ঝড়ঝাপ্টা গেছে। ঝড়ঝাপ্টা না