ধৈর্য্য চাই—মোটের উপর খাঁটি ও শক্ত মানুষ হওয়া চাই। নচেৎ ফিন্ফিনে ধুতিপরা, পাঞ্জাবী আস্তিন গায়ে, থল্থলে গোলগাল নাদুসনুদুস নন্দদুলাল—এই ধরণের অকেজো পুতুল নিয়ে এই সঙ্কটকালে আমরা কি কর্ব? কঠিন সমস্যা সকলের মীমাংসা কর্বার ভার আমাদের হাতে— আমাদের কি দুর্ব্বলচিত্ত, চাক্রীপ্রিয়, বিলাসী বাবু হওয়া সাজে? শক্ত হতে হবে, দৃঢ়ব্রত হতে হবে, মেরুদণ্ডবিশিষ্ট মানুষ হতে হবে। অন্নসমস্যার মীমাংসা কর্তে পার্লে সঙ্গে সঙ্গে অনেক প্রশ্নের সমাধান হয়ে যাবে। তাই ব্যবসা বাণিজ্য ছাড়া আজ আমার অন্য কিছু বলবার নেই। এসব কাজে আমাদের স্পৃহা নেই—প্রবৃত্তি নেই। এই প্রবৃত্তি আগে জাগিয়ে তুল্তে হবে, এই স্পৃহা মনে তীব্র হলে নূতন পথে চল্বার সাহস হবে। তাই এত কথা বল্ছি।
ছাত্র যাঁরা তাঁদের বিশেষ ক’রে বল্ছি। প্রতিকারের উপায় তাঁদেরই কর্তে হবে। লেখাপড়া শিখ্তে বারণ করছি না—লেখাপড়া চাই। লেখাপড়ার অভাবে মাড়োয়ারীর টাকা অন্নছত্র বা পিঞ্জরাপোল ছাড়া দেশের অন্য কাজে লাগ্চে না। কিন্তু দেশের অভাব আজ কত বেশী তা কি ব’লে জানাতে হবে? রবীন্দ্রনাথের ভাষায়—
“বড় দুঃখ বড় ব্যথা— সম্মুখেতে কষ্টের সংসার—
বড়ই দরিদ্র, শূন্য, বড় ক্ষুদ্র বদ্ধ অন্ধকার!—
অন্ন চাই, প্রাণ চাই, আলো চাই, চাই মুক্ত বায়ু,
চাই বল, চাই স্বাস্থ্য, আনন্দ-উজ্জ্বল পরমায়ু
সাহসবিস্তৃত বক্ষপট!···········”
আমার সাধের রসায়ন-শাস্ত্রচর্চ্চা ফেলে কেন আমি এসব কথা তোমাদের কাছে বল্তে এসেছি? আমার বিশ্বাস অদূর ভবিষ্যতে