তিন ছেলের একজন দেশে থাকিতেছেন আর দুইজন বাহির হইয়া পড়িতেছেন, হয় জমির তল্লাসে নয় ষ্টীমার জাহাজে সারেঙ্গ কিম্বা মাঝি মাল্লা হইতে। হয়ত পদ্মায় চর উঠিয়াছে, তখনও মালিকের কোন ঠিকানা নাই। এরা গিয়ে দু’চার বছর বিনা খাজনায় চাষ আবাদ করিল। তারপর মালিকী সাব্যস্ত হইলে সেখানে থাকিয়া গেল, নয় ত ঘরের ছেলে ঘরে ফিরিল। আমাদের হিন্দু ভ্রাতাদের ন্যায় বাড়ীর চার ছেলে পৈতৃক দুই বিঘা জমি চুলচেরা ভাগ-বাটোয়ারা করিয়া নিঃস্ব না হইয়া এই-রকম করিয়া এঁরা সচ্ছল অবস্থায় আছেন। এ অতি প্রশংসনীয়।
কেউ যদি কলিকাতায় গঙ্গার জেটি, Custom House, ক্লাইব ষ্ট্রীট্, এজ্রা ষ্ট্রীট্, পোলক ষ্ট্রীট্ অঞ্চলে যান, দেখিতে পাইবেন কত হাজার মণ মাল নিয়ত আসা-যাওয়া করিতেছে। এ সমস্ত কারা আনে ও নেয়? এর মুনফা কার পকেটে যায়? ভারতবর্ষে অন্যূন ৬০০ কোটী টাকার মাল আমদানী ও রপ্তানী হয়। এই ৬০০ কোটীর কত অংশ দালাল ও (middleman) ফ’ড়েদিগের রোজগার হয়? তার পর মফঃস্বলে দাদন দিয়া উৎপন্ন শস্যাদি কাহারা নামমাত্র মূল্যে চালান দিতেছেন? তারপর আমাদেরই ক্ষেত্রজাত পাট যখন পাটকলে যায়, তখনই বা কি দাম দেওয়া হয়, আর যখন কল হইতে বাহির হয় তখনই রা ইহার দাম কত হয়? বাঙ্লা দেশের শ্রেষ্ঠ জমিদার বর্দ্ধমানাধিপের আদায় ৪০।৫০ লাখ টাকা; কিন্তু দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দের সঙ্গে অসদ্ভাবের জন্য সদর খাজনা বেশী হয়। তার পর, কাশিমবাজার, মুক্তাগাছা প্রভৃতি ভূম্যধিকারীদের আয়। বজবজ হইতে ত্রিবেণী পর্য্যন্ত গঙ্গার দুধারে যে সমস্ত পাটের কল এদের অনেকেরই মূলধন ২৫।৫০ লাখ টাকা। ক্লাইব, কামারহাটি ইত্যাদি কোম্পানীরা শতকরা ১০০, ২০০, ২৫০ টাকা dividend (মুনাফা) দেয়। তাহা হইলে, ৫০ লাখ মূলধনে বৎসর ৫০ লাখ