এমন কি খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতেও আমরা জাতিচ্যুতদের ভীষণ আর্ত্তনাদ শুনিতে পাই। সম্প্রতি মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ ‘শূন্য পুরাণ’ বা ‘ধর্ম্মপুরাণ’ নামে একটি প্রাচীন কাব্যগ্রন্থ আবিষ্কৃত হইয়াছে; তাহাতে বাংলায় বৌদ্ধ ধর্ম্ম যখন একটু একটু করিয়া হিন্দুধর্ম্মের সহিত মিশিয়া যাইতেছিল, সেই সময়কার অবস্থা বেশ জানিতে পারা যায়। এখানে তাহার একটি জায়গা উদ্ধৃত না করিয়া থাকিতে পারিলাম না—
দক্ষিন্যা মাগিতে যাএ জার ঘরে নাঞি পাএ
সাঁপ দিয়া পুড়াএ ভুবন।
ধর্ম্ম হইল যবনরূপী মাথা অত কাল টুপী
হাতে সোভে তিরুচ কামান।
চাপিয়া উত্তম হয় ত্রিভুবনে লাগে ভয়
খোদাঅ বলিয়া একনাম॥
নিরঞ্জন নিরাকার, হৈল্য ভেন্ত অবতার,
মুখেতে বলেত দম্বদার।
যত্তেক দেবতাগণ সভে হয়্যা একমন,
আনন্দেতে পরিল ইজার॥
ব্রহ্মা হৈল মহামদ, বিষ্ণু হৈলা পেকাম্বর,
আদম্ফ হৈল্যা শূলপানি।
গনেশ হৈল্যা গাজী কাত্তিক হইল্যা কাজী
ফকির হইল্যা মহামুনি॥
তেজিআ আপন ভেক, নারদ হৈল্যা সেখ
পুরন্দর হইল মৌলানা