পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্কার সমস্যা - >२७ উপহাস করিয়াই নিশ্চিন্ত থাকেন। সামাজিক সাম্যের মানে ইহা নয় যে প্রত্যেক মানুষেরই বুদ্ধিবৃত্তি বা অন্তবিধ শক্তি সমান, এবং সব মানুষ সদ্ধ বিষয়ে সমান । ইহার মানে এই, যে জন্মনির্বিশেষে সকল মানুষের কোন না কোন দিকে ভাল, শক্তিশালী ও গুণশালী হুইবার সমান, সম্ভাবনা থাকায়, সকলেরই ব্যক্তিত্ব ও গুণ বিকাশের, শক্তি অর্জনের, সমান স্কুয়োগ পাওয়া উচিত। জাতবিশেষে, পরিবারবিশেষে কেহ জন্ম গ্রহণ করিয়াছে বলিয়াই ধরিয়া লইবার কোম কারণ নাই যে সে বুদ্ধিতে, জ্ঞানে, শক্তিতে চরিত্রে, বীরত্বে, বা অন্ত ক্ষেম বিষয়ে হীন হুইবেই। পক্ষান্তরে ইহাও ধরিয়া লওয়া ਚੋੇ নহে যে কেহ কোন জা’তে, বংশে, বা পরিবারে জন্মিয়াছে বলিয়াই তাহার একটা গুণশালী মাহুৰ হইবার সম্ভাবনা বেশী । পৃথিবীর সব দেশের ইতিহ্লাসেও দেখা যায় যে, অধিকাংশ সুপ্রসিদ্ধ লোক তাহাদের বংশকে ধন্য করিয়াছেন, কিন্তু বিখ্যাত বংশে জন্মিয়াছিলেন বলিয় তাহারা ধন্ত e কীর্ত্তিমান হন নাই ।” স্বগীয় ডি, এল, রায় বলিয়াছিলেন—“জাতির সমস্ত বিদ্যা, যশ, ক্ষুমত আত্মসাৎ করে নিজে বাড়বে ? শরীরকে অনশনে রেখে মস্তিষ্ক বড় হবে ? ত,কি সয় ? সয় না । তাই এই অধঃপতন ।" তারপর আমাদের সমাজে মেয়েদের অবস্থাটা একবার ভাবুন ; ইহার আমূল পরিবর্তন কি একান্ত বাঞ্ছনীয় নয় ? অমর কবি সেক্সপিয়র লিখিয় গিয়াছেন যে অজ্ঞতা ভগবানের অভিসম্পাত যদি তাহাই হয় তবে স্ত্রীলোকের অজ্ঞতা কি আরও দশগুণ অধিক অভিসম্পাত নহে ? পুরুষের সদাসর্ব্বদাই বাহিরে রহিয়াছে, নানান রকম লোকের সহিত ব্যবহার করিতেছে, তাহাঁদের আচার, শিক্ষা, নীতি প্রভৃতি দেখিতেছে ও নিজেদের দোষগুলি বুঝিয়া লইয়া সংশোধন করিয়া লইতেছে। কিন্তু