উপহাস করিয়াই নিশ্চিন্ত থাকেন। সামাজিক সাম্যের মানে ইহা নয় যে প্রত্যেক মানুষেরই বুদ্ধিবৃত্তি বা অন্যবিধ শক্তি সমান, এবং সব মানুষ সব বিষয়ে সমান। ইহার মানে এই, যে জন্মনির্বিশেষে সকল মানুষের কোন না কোন দিকে ভাল, শক্তিশালী ও গুণশালী হইবার সমান সম্ভাবনা থাকায়, সকলেরই ব্যক্তিত্ব ও গুণ বিকাশের, শক্তি অর্জ্জনের সমান সুযোগ পাওয়া উচিত। জা’তবিশেষে, পরিবারবিশেষে কেহ জন্ম গ্রহণ করিয়াছে বলিয়াই ধরিয়া লইবার কোন কারণ নাই যে সে বুদ্ধিতে, জ্ঞানে, শক্তিতে, চরিত্রে, বীরত্বে, বা অন্য কোন বিষয়ে হীন হইবেই। পক্ষান্তরে ইহাও ধরিয়া লওয়া উচিত নহে যে কেহ কোন জা’তে, বংশে, বা পরিবারে জন্মিয়াছে বলিয়াই তাহার একটা গুণশালী মানুষ হইবার সম্ভাবনা বেশী। পৃথিবীর সব দেশের ইতিহাসেও দেখা যায় যে; অধিকাংশ সুপ্রসিদ্ধ লোক তাঁহাদের বংশকে ধন্য করিয়াছেন, কিন্তু বিখ্যাত বংশে জন্মিয়াছিলেন বলিয়া তাঁহারা ধন্য ও কীর্ত্তিমান হন নাই।”
স্বর্গীয় ডি, এল, রায় বলিয়াছিলেন—“জাতির সমস্ত বিদ্যা, যশ, ক্ষমতা আত্মসাৎ করে’ নিজে বাড়বে? শরীরকে অনশনে রেখে মস্তিষ্ক বড় হবে? তা কি সয়? সয় না। তাই এই অধঃপতন।”
তারপর আমাদের সমাজে মেয়েদের অবস্থাটা একবার ভাবুন; ইহার আমূল পরিবর্ত্তন কি একান্ত বাঞ্ছনীয় নয়? অমর কবি সেক্সপিয়র লিখিয়া গিয়াছেন যে অজ্ঞতা ভগবানের অভিসম্পাত। যদি তাহাই হয় তবে স্ত্রীলোকের অজ্ঞতা কি আরও দশগুণ অধিক অভিসম্পাত নহে? পুরুষেরা সদাসর্ব্বদাই বাহিরে রহিয়াছে, নানান রকম লোকের সহিত ব্যবহার করিতেছে, তাহাদের আচার, শিক্ষা, নীতি প্রভৃতি দেখিতেছে ও নিজেদের দোষগুলি বুঝিয়া লইয়া সংশোধন করিয়া লইতেছে। কিন্তু