পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৪ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী যে হিন্দু সমাজে আদেী জাতিভেদ ছিল না সেই সমাজ ক্রমে "শু” “অস্পৃশু” নানাজাতিতে বিভক্ত হ’য়ে পড়েছে ! জাতিভেদের এই অভিব্যক্তি বা ক্রমবিকাশ একটু আলোচনা করতে হবে। بے’’ . ম্যাক্সমুলার প্রথম সমগ্র ঋকবেদ প্রকাশিত করেন। তারপর রমেশ দত্ত বেদের বাংলা অনুবাদ করেছেন। সুতরাং সংস্কৃতবিশারদ না হলেও বেদের কথা এখন অনায়াসেই জানতে পারা যায়। বেৰ্বর প্রভৃতি পণ্ডিতগণ বেদের নানাপ্রকার আলোচনা করেছেন । তাদের মতে— “Caste is not a Vedic institution” (3.7% যুগে জাতিভেদ ছিল না। আবার বৈদিক যুগের খাওয়া-ছোওয়ার বাছবিচার সম্বন্ধে একটা কথা শুনুন,-অতিথি সংকারের জন্য তখন গৃহস্থের বাড়ীতে গরু মারা হ’ত, এই জন্তে অতিথির আর একটি নাম ছিল “গোত্ন” । স্বৰ্গীয় রাজেন্দ্রলাল মিত্র অনেক পুরাতন কথা সংগ্রহ ক’রে “Beef eating in Ancient India” নামক এক প্রবন্ধ লিখেছিলেন । সুতরাং স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে এখনকার খাদ্যাথদ্ব্য বিচার, স্পর্শদোষে খাদ্যদ্রব্য অপবিত্র হবার ব্যবস্থা, এসব বেদে শ্রুতিতে কোথাও দেখা যায় না। এমন কি ভবভূতির সময়ও গোমাংস ভক্ষণ বিলক্ষণ প্রচলিত ছিল। মহর্ষি বাল্মীকির আশ্রমে মহর্ষি বশিষ্ঠ অতিথি হ’লে ‘জেন আত্মদেষু বসিঠ, ঠমিস্সেমৃ বচ্ছদর বিসসিদা-বাছুর নিহত হ’ল এবং ‘তেন পরাবড়িদেণ জ্জেব সাবরাইআ কল্পাণিঅ মড়মড়াইদা”—তিনি এসেই সেই হতভাগ্য বাছুরের অস্থিমাংস মড়মড় শব্দে চর্বণ ক’রে ফেললেন; কেননা ‘সমাংসো মধুপৰ্ক ইতি আমায়ং বহুমন্তমান শ্রোত্রিয়ায়াভ্যাগতার বৎসতরীমহোক্ষং বা মহাজং বা নির্বপত্তি গৃহমেধিনঃ, তং হি ধর্ম্মস্থত্রকারা; সমমনস্তি— মাংস সহিত মধুপৰ্ক দান করবে এই বেদবাক্যের প্রতি সন্মানপ্রদর্শন ক’রে গৃহস্থগণ অতিথিরূপে সমাগত বেদাধ্যায়ী বিপ্র বা রাজন্যের