পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতিভেদ ১৩৫ অভ্যর্থনার জন্য,বাছুর ষাড় বা রামছাগল প্রদান ক’রে থাকেন—ধর্ম্মস্থত্রকারগণ এই রীতিকে ধর্ম্ম ব’লে বিধান দিয়েছেন -( ভবভূতির উত্তররামচরিত, ৪র্থ অঙ্ক ) । আমরা বলি হিন্দু হয়ে বেদের মত অগ্রাহ করে এমন কেউ নেই। কিন্তু বেদবিরোধী বিধিব্যবস্থার চাপে ধর্ম্ম যে দেশ ছেড়ে পালাবার উপক্রম করেছেন তা আমরা বুঝেও বুঝতে পারি না। শ্রুতি ও স্মৃতি যেখানে পরস্পর বিসম্বাদী সেখানে বিরোধ মীমাংসা স্মৃতি ছেড়ে দিয়ে শ্রীতির কথাই গ্রাহ। কিন্তু আমাদেব এমনি ੋਂ পড়েছে যে আমরা বরং সত্য ও শ্রুতি পরিত্যাগ করব তবুও স্মৃতির অদ্ভুত বিধান ও লোকচারের কঙ্কালরাশি কিছুতেই ছাড়তে পারব না। বিচার ও যুক্তির বশবর্তী হয়ে কোন হৃদয়বান ব্যক্তি দি অর্থহীন নির্ম্মম রিধি-ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কোন কথা বলেন তবে সমাজ অমনি রক্ত আঁখি হ’য়ে তার কড় শাসনের জন্যে “একঘরের মস্ত বন্দোবস্ত” করতে উদগ্রীব হয়ে উঠবেন। বড় দুঃখেই স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন—“ওই যে পশুবৎ হাড়ি ডোম প্রভৃতি বাড়ীর চারিদিকে ঘুরছে, ওদের জন্তে,—ওই অধঃপতিত, দরিদ্র পুন্দলিত গরীবদের জন্যে—তোমরা হাজার হাজার সাধু ব্রাহ্মণ কি করেছ ? খালি বল্‌ছ ছুয়োন আমায় ছুয়োনা ! এমন সনাতন ধর্ম্মকে কি ক’রে ফেলেছ ? এখন ধর্ম্ম কোথায় ? খালি ছুংমার্গ—আমায় ছুয়োনা ছুয়োনা !”—কিন্তু বৈদিকযুগে এই ছুংমার্গের অস্তিত্বই ছিল না; তখন ছিল শুধু বর্ণভেদ। অনার্য্যের ছিল কৃষ্ণকায়, কিন্তুতকিমাকার। তাহাদের ধনসম্পত্তি কেড়ে নিয়ে স্থজলা সুফল দেশে বাস করল গৌরবর্ণ আর্ষ্যেরা। অনার্ঘ্যের সহিত সংমিশ্রণ যাতে" না হয় তার জন্য আর্য্যেরা সাবধানতা রেছিল ;–উভয়ের মধ্যে বৈবাহিক ক্রিয়া তাই তখন প্রায়ই