পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতিভেদ Sలవ অধিকারী হতে, হবে ? সেক্ষপীয়রের বা মিণ্টনের বংশে তাদের মত প্রতিভাশালী ব্যক্তি আর জন্মগ্রহণ করেছেন কি ? পৃথিবীতে বরং ঠিক এর উন্টাই দেখা যায়। প্রকৃতির কেমন আশ্চর্ঘ্য খেয়াল যে প্রতিভাশালী ব্যক্তির বংশে সেরূপ গুণান্বিত পুরুষ আর প্রায় জন্মায় না। আর প্রতিভার কথা ছেড়ে দিলেও যিনি প্রকৃত প্রস্তাবে গুণী কুলীন, তার সন্তান মোতৃগর্ভ থেকে নয়টি গুণ নিয়ে ভূমিষ্ঠ হবে এমন সম্ভাবনা একটুও নেই। কুলীনের ছেলে নামে “কুলীনু” হতে পারে, কিন্তু মনে রাখতে হবে কাটাগাছ উর্ব্বরক্ষেত্রেও জন্মায় । সুতরাং অপরকে হীন ও অবনত ক’রে রেখে আর এরকম একটা অন্যায় গণ্ডী টেনে আপনার জাত বাচিয়ে চলবার মূলে কি যে সৎ উদ্দেশু বর্তমান আছে ত দেবত হয়ত বুঝলেও বুঝতে পারেন, কিন্তু মাহুষের-বুদ্ধির তা অগম্য ! আবার শুমুন আশ্চর্য্য ব্যাপার । ঘটকপ্রবর দেবীবর বামুনদের মধ্যে মেল বাধলেন—বংশের দোষ দেখে দেখে একরকম দোষীদের একত্র ক’রে ক’রে ; ফলে একই জাতি থেকে আবার বহু প্র-পর-উপজাতির স্বষ্টি হ’ল । সমাজবিধি হ’ল এই য়ে মেলে মেলে বিরাহ দিতে হবে, মেলাস্তরে বিবাহকার্য্য সম্পন্ন করলে একবারে কৌলিন্ত-বিচ্যুতি-অর্থাৎ মেলগত দোষকে বংশে কায়েমি করে না তুললে সমাজে হীন হ’তে হবে। “অঘরে” মেয়ে দিলে কুল যাবে। স্বতরাং কন্যাকে “সঘরে” অর্থাং নিজের গণ্ডীবদ্ধ মেলের ভিতর পাত্রস্থ করাটাই কুলীন • পিতার বাঞ্ছিত হ’য়ে দাড়াল। কিন্তু ফল হল বড় বিষময়। পাত্রের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় “কুলীনের কুলরক্ষ করাই কুলীনের ধর্ম্ম” হ’য়ে উঠল । আর ব্রাহ্মণের ছেলে কদাপি ধর্ম্মপালনে পরামুখ নন ! তাই পূর্ণ উদ্যমে কেউ ৬০, কেউ ৭০, কেউবা ৮০টি পর্য্যস্ত বিবাহ ক’রে বসলেন এবং পাক খাতায় বিবাহের ‘লিষ্টি’