History of Civilization) পাঠ কর্লে তৎকালীন ইংলণ্ডীয় সমাজের নীচ ও উচ্চজাতি সম্বন্ধে একটা বড় কথা জানা যায়। কথাটা এই যে যতদিন প্রজাশক্তিকে চালিত কর্বার জন্যে উচ্চবংশজাত ব্যক্তিকে সেনাপতি নির্ব্বাচিত করা হয়েছিল ততদিন প্রজাপক্ষ জয় লাভ করেনি। তারপর যখন জনসাধারণের মধ্য থেকে যুদ্ধনেতার আবির্ভাব হ’ল, তখন রাজার দল পরাজিত হ’ল জনসাধারণের চেষ্টা জয়শ্রীমণ্ডিত হ’য়ে উঠল। নেপোলিয়ন তাঁর ভগ্নী কারোলিনাকে মুরা নায়ক যোদ্ধার হাতে সম্প্রদান করেন; তিনি সরাইওয়ালার (inn keeper) পুত্র ছিলেন। নেপোলিয়নের নিকট পুরুষকার আভিজাত্যের একমাত্র নিদর্শন ছিল। তিনি কি সৈনিক বিভাগে, কি শাসন বিভাগে যোগ্যতা ও গুণ অনুসন্ধান ক’রে সমাজের যে কোন স্তর হতে লোকদের উন্নীত কর্তেন।
নেপোলিয়নের কার্য্যনীতির একটা বিশেষ অঙ্গ এই ছিল যে তিনি বরাবর গুণেরই আদর কর্তেন; যথার্থ গুণী, তা সে সমাজের যে স্তর থেকেই আসুক না কেন, তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ ক’রে সামরিক রাজনৈতিক প্রভৃতি সকল বিভাগে দায়িত্বপূর্ণ পদ প্রাপ্ত হ’ত। কর্ম্মতৎপরতার ফলস্বরূপ লোকের পদোন্নতি লাভ হ’ত! তার কোন্ কুলে জন্ম সে পরিচয় কেউ নিত না। ক্রম্ওয়েল মদ প্রস্তুত করতেন। তিনি যে সকল সেনানায়ক নিযুক্ত করতেন তার মধ্যে অনেকেই “নীচ” বংশোদ্ভূত। কেউ বা মুদি, কেউ বা ফেরিওয়ালা, কেউ বা পরিচারক, কেউ বা ভিক্ষান্নপালিত, কেউ বা চামার, কেউ বা মুচি, কেউ বা “জুতি সেলাই”! বাক্ল্ বলছেন “the highest prizes being open to all men, provided they displayed the requisite capacity” এই “জুতি সেলাই” বলতে আর একটি কথা মনে পড়্ল। শ্রীরামপুরের মিশনারীদের অগ্রণী বিখ্যাত উইলিয়ম কেরীও এই ব্যবসায়ী