পাছে তার ছায়াস্পর্শে ব্রাহ্মণের পবিত্রতা উড়ে যায়—তাই এই ব্যবস্থা। আবার কোন হতভাগ্যের গলায় ঘণ্টা বাঁধা আছে, চল্তে গেলেই ঘণ্টা বাজে আর সেই শব্দ শুনে শুচি ব্রাহ্মণ অশুচিতার আগমন-বার্ত্তা জান্তে পেরে ছুটে পালান। আবার এইসকল নীচজাতের নাম শুন্লে আশ্চর্য্য হ’য়ে যেতে হয়। সেখানে বামুনদের নাম রামস্বামী, কুমারস্বামী; কিন্তু এইসব অন্ত্যজবংশীয়দের নাম হবে সাপ, ব্যাঙ, পিপ্ড়ে কেঁচো, ছুঁচো! কি ভয়ানক ব্যাপার! বাংলার হাড়ি, ডোম, চণ্ডাল, মুদ্দফরাস ওদের চেয়ে খুব ভালো আছে—তাদের আরো ভালো, আরো বড় ক’রে তুল্তে হবে—গুণবান্ শীলবান্ হলে তাঁরাও ব্রাহ্মণের সম্মান পাবার অধিকারী এ কথা মনে রাখ্তে হবে।
আমরা যে কারণে ইংরেজের নিকট রাজনৈতিক অধিকারের দাবী কর্ছি, নীচজাতি ব’লে যাদের ঘৃণা করি তারাও ঠিক সেই কারণেই সামাজিক অধিকার দাবী কর্ছে। বাংলা দেশে জাতিভেদের কঠোরতা কম; তবুও এখানে নমঃশূদ্র ও পোদ প্রভৃতি জাতি লেখাপড়া শিখে সামাজিক অত্যাচারের কারণে উঁচুজাতের উপর খড়্গহস্ত হ’য়ে উঠ্ছেন। মান্দ্রাজের ডাক্তার নায়ার অব্রাহ্মণ সমাজের মুখপাত্র স্বরূপে একটি দল বেঁধে গেছেন। সেই দল এংগ্লো-ইণ্ডিয়ানদের সঙ্গে কতকটা এক হয়ে আমাদের রাজনৈতিক অধিকারের পথে বাধা দিচ্ছেন। বাংলা দেশে নমঃশূদ্রের মধ্যেও এরূপ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে। এঁরা বল্ছেন—নূতন শাসন সংস্কারে অব্রাহ্মণদের স্বত্ব রক্ষার জন্য যদি গোড়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা না হয়— তবে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে নূতন সুখ সুবিধার সব অধিকারই ক্রমে ব্রাহ্মণগণ একচেটে ক’রে নেবে। তা ছাড়া আমাদের মুসলমান ভ্রাতারা লোকসংখ্যা হিসাবে অর্দ্ধেক ব’লে communal representation সাম্প্রদায়িক