পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৬ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী পাছে তার ছায়াম্পর্শে ব্রাহ্মণের পবিত্রত উড়ে যায়—তাই এই ব্যবস্থা । আবার কোন হতভাগ্যের গলায় ঘণ্টা বাধা আছে, চলতে গেলেই ঘণ্টা বাজে আর সেই শব্দ শুনে শুচি ব্রাহ্মণ অশুচিতার আগমন-বার্তা জানতে পেরে ছুটে পালান। আবার এইসকল নীচজাতের নাম শুনলে আশ্চর্ষ্য হ’য়ে যেতে হয় । সেখানে বামুনদের নাম রামস্বামী, কুমারস্বামী ; কিন্তু এইসব অস্ত্যজবংশীয়দের নাম হবে সাপ, ব্যাঙ, পিপড়ে কেঁচো, ছুচো! কি ভয়ানক ব্যাপার! বাংলার হাড়ি, ডোম, চণ্ডাল, মুদ্রফরাস ওদের চেয়ে খুব ভালো আছে—তাদের আরো ভালো, আরো বড় ক’রে তুলতে হবে—গুণবান শীলবান হলে তাবাও ব্রাহ্মণের সম্মান পাবার অধিকারী এ কথা মনে রাখতে হবে । , আমরা যে কারণে ইংরেজের নিকট রাজনৈতিক অধিকারের দাবী করছি, নীচজাতি ব’লৈ যাদের ঘৃণা করি তারাও ঠিক সেই কারণেই সামাজিক অধিকার দাবী করছে। বাংলা দৈশে জাতিভেদের কঠোরত কম ; তবুও এখানে নমঃশূত্র ও পোদ প্রভৃতি জাতি লেখাপড় শিখে সামাজিক অত্যাচারের কারণে উচুজাতের উপর খড়গহস্ত হ’য়ে উঠছেন। মান্দ্রাজের ডাক্তার নায়ার অব্রাহ্মণ সমাজের মুখপাত্র স্বরূপে একটি দল বেঁধে গেছেন। সেই দল এংগ্লো-ইণ্ডিয়ানদের সঙ্গে কতকটা এক হ’য়ে আমাদের রাজনৈতিক অধিকারের পথে বাধা দিচ্ছেন। বাংলা দেশে নমঃশূত্রের মধ্যেও এরূপ আন্দোলনের স্বত্রপাত হয়েছে। এর -বলছেন—নুতন শাসন সংস্কারে অব্রাহ্মণদের স্বত্ব রক্ষার জন্য লদি গোড়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা না হয—তবে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে নূতন মুখ স্থবিধার সব অধিকারই ক্রমে ব্রাহ্মণগণ একচেটে ক’রে নেবে। তা ছাড়া আমাদের মুসলমান ভ্রাতার লোকসংখ্যা f#nfZe stás zo'te communal representation nietwffijze