পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫০ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী অস্তুর সমৃদ্ধ হয়ে অদূর ভবিস্তুতে নানাকর্ম্মে বৈচিত্র্যে বিকাশলাভ করবে না কি ? দেশীয় রাজ্যের একজন স্বপ্রসিদ্ধ রাজনীতিজ্ঞ স্তর টি মাধব রাও হিন্দু সমাজের বৈষম্যকে লক্ষ্য ক’রে বড় দুঃখে বলেছেন এই সব বৈষম্য ও তজনিত ক্লেশ আমরা আপন হাতে স্বষ্টি ক’রে আপনার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছি । সুতরাং সভ্যভাবে চেষ্টা করলে এর প্রতিবিধানও আমাদের আপনারই হাতে —আমাদের যুক্তি নেই, বিচার নেই, কুফলপ্রস্থ অতি তুচ্ছ লোকাচারকে আমরা মন্থ, রঘুনন্দন 'প্রভৃতি দোহাই দিয়ে সাগ্রহে অঁাকৃড়ে থাকি । “কেন” ব’লে কেউ যদি প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ করে, তাহলে তৎক্ষণাং জবাব দিই—“কি আশ্চর্য্য ! ও যে চিরকাল হ’য়ে আসছে গে৷ ” আমরা বিলাতী বিস্কুট খাবো, বরফ দিয়ে সোড লেমনেড খাবো, কিন্তু জাতিবিশেষের কেউ যদি হাতে ক’রে এক গ্লাস জল দেয় অথবা আমাদের চৌকাঠ মাড়ায় তাহলে অমনি চীৎকার—“জাতৃ গেল, হাড়ি ফেল, স্নান কর!” অদ্ভুত ব্যাপার? তারই ফলে আমরা ব্রাহ্মণ-শূদ্র মিলে সকল জাতিটাই বিদেশের অগ্রসর জাতিদের কাছে হেয় অস্পৃশ্ব অপাংক্তেয় হয়ে আছি। যতকাল নিজেদের স্বভাব শোধন না করব, ততকাল এমনি থাকৃতে হবে । স্বতরাং সাধু সাবধান ! سمسمبس مہیا۔ *