বিরোধের ভাব উপস্থিত কর্তে চাইনে। মান্দ্রাজে পারিয়া ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণেতর জাতির মধ্যে মহা বিবাদ উপস্থিত। বাঙ্গালা দেশে এসব বড় একটা নেই। কর্নেল উপেন্দ্র মুখুজ্জে মশাই জানেন বাঙ্গালাতে প্রায় ৯০০ ম্যাট্রিকিউলেসান বিদ্যালয়। আপনারা যদি হিসাব করে দেখেন গভর্ণমেণ্ট স্কুল প্রায় ৪৭টি হবে। বাকী ৮৫৩টির ভিতর ব্রাহ্মণ কায়স্থ বৈদ্যের চেষ্টাতে হয়েছে এমন স্কুল বাদ দিলে আর কয়টি থাকে? অধিকাংশ স্কুলই প্রধানতঃ তাঁদের চেষ্টাতেই হয়েছে। কিন্তু এমন কোন বিদ্যালয় আছে কি যেখানে তাঁরা তথাকথিত নিম্ন জাতিকে পাশে বসে বিদ্যাশিক্ষা কর্তে বারণ করেন? এই বাগেরহাট কলেজ হয়েছে। তাঁরা কি কোন দিন বলেছেন যে বারুইজাতি কায়স্থ ব্রাহ্মণ ছাড়া আর কাউকে পড়্তে দেবেন না? এ কথা বলা যায় না যে তাঁরা সব নিজেদেরই সুবিধা করে নিয়েছেন। কেউ দীঘি কেটে বলেন না—এক্লা আমি এই দীঘির জল পান করব। সুতরাং এটাও ভাব্বেন ব্রাহ্মণ কায়স্থ প্রভৃতি স্কুল কলেজ ক’রে সকলের উপকার করেছেন। যদি তাঁরা বলেন আমরা এখানে আর কাউকে পড়্তে দেব না তা হ’লে তাতে ক্ষতি হবে তথাকথিত নিম্নশ্রেণীদের। মোটামুটি আমি বল্তে চাই যে বাঙ্গালা দেশ মান্দ্রাজ অপেক্ষা এইরূপ বিষয়ে অনেকটা উদার।
আমি কোন সমাজভুক্ত নই। আমি হিন্দুর হিন্দুত্ব, মুসলমানের মুসলমানত্ব, ব্রাত্যক্ষত্রিয়ের ব্রাত্যক্ষত্রিয়ত্ব গ্রহণ করি। আমি রাসায়নিক, আমি নিক্তির ওজন ক’রে সকলের ভালমন্দ ওজন ক’রে বিচার কর্তে চাই; আমাদের সামাজিক ব্যাধি দূর কর্তে হলে আগে diagnosis রোগ নির্ণয় কর্তে হবে। সার সৈয়দ আহমদ বলেছিলেন—হিন্দু ও মুসলমান—জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ ভ্রাতা। যাঁরা জ্যেষ্ঠ তাঁদের উচিত হস্ত-