পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬০
আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী

 এই ত আমাদের মান! এই মানে মানী হয়ে আমরা বলি জল নষ্ট করিস্‌নে। এখন আর পৃথক থাক্‌লে চল্‌বে না। আমি intermarriage সার্ব্বজাতিক বিবাহের কথা বল্‌ছি না। আপনারা একটু এগুন, তাঁরাও আপনাদের দিকে একটু আসুন। কিন্তু আমি বলি যাঁরা কুলীন তাঁদেরই আগে এগুতে হবে। আপনারা জাত্‌ জাত্ কর্‌ছেন। আমার ওসব আসে না। এখানে চেহারা দেখে কে বড় কে ছোট তা ঠিক কর্‌তে পারেন?

 আপনারা অবনত বল্‌লে কে? ও যেন ঠাকুর ঘরে কে—না আমি ত কলা খাইনি। আপনারা ব্রাহ্মণ কায়স্থ অপেক্ষা কোন অংশে ছোট নন। আপনারা বড় বড় পদ লাভ করুন—কাউন্সিলে নিজেদের মধ্য থেকে মেম্বর পাঠান। আপনারা অনেকেই লক্ষ্মীমন্ত। আমি করজোড়ে প্রার্থনা করি আপনারা প্রতিজ্ঞা করুন শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রাণপণ কর্‌বেন। আপনাদের আয়ের অন্ততঃ একদশমাংশ স্বজাতির শিক্ষার জন্য ব্যয় করুন। যেমন কালীপূজার বারোয়ারির জন্য এক পয়সা ক’রে বৃত্তি রাখা হয়, তেমনি ক’রে আপনারা যে ধান পান তার যদি দশমাংশ এমন কি শতাংশও আপনাদের উন্নতির জন্য রেখে দেন, আপনাদের উন্নতি আট্‌কে রাখে কে? আপনারা নিজেরাই নিজেদের উন্নতি আট্‌কে রেখেছেন। শিক্ষার বিস্তার করুন। উন্নতি ধ্রুব নিশ্চয়।

 আমি আজ বুঝ্‌তে পারলাম—জাতীয় জাগরণের প্রকৃত স্ফুরণ হয়েছে। প্রকৃত জাতীয় জাগরণের স্পন্দন দেশের সর্ব্বত্র পৌঁচেছে।

 কায়স্থ, ব্রাহ্মণ, বৈদ্য—হিন্দু মুসলমান সকল শ্রেণীর সকলস্তরের সহৃদয় লোক বহু প্রকারে জ্ঞাপন করছেন যে সকলেরই আপনাদের সঙ্গে আন্তরিক সহানুভূতি আছে ও তাঁরা আপনাদের উন্নতি কামনা