৭
জাতিগঠনে বাধা—
ভিতরের ও বাহিরের
আজ এ নব-জাগরণের দিনে বাঙালীর হৃদয়তন্ত্রী কি এক অপূর্ব্বসুরে বেজে উঠেছে! আশায়, আনন্দে, উৎসাহে বাঙালী এখন একটা জাতি ব’লে পরিগণিত হ’য়ে জগতের সমক্ষে দাড়াতে চায়। শুধু বঙ্গে নয়, একটা প্রাণ-মাতানো নতুন হাওয়া সারা ভারতবর্ষের উপর দিয়ে প্রবাহিত হ’য়ে যাচ্ছে। ভারত দিনে দিনে উদ্বুদ্ধ হ’য়ে উঠ্ছে। কিন্তু এই উদ্বোধনে কি কি উপকরণ চাই? জাতিগঠনের উপাদান কি? সমষ্টির দেহে কোন্ শক্তি সঞ্চারিত হ’লে জাতি সুপুষ্ট ও মেরুদণ্ডবিশিষ্ট হ’য়ে গর্ব্বোন্নত-শিরে আপন দেশে দাঁড়াতে পার্বে? আমাদের এখন চাই কি? অভাব কোথায়?
আপনারা মান্দ্রাজের স্যর টি মাধব রাওএর নাম শুনেছেন। তিনি ত্রিবাঙ্কুর, বরোদা প্রভৃতি দেশীয় রাজ্যে প্রধান মন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই বিজ্ঞ দূরদর্শী পুরুষপ্রবর স্যর সালার জঙ্গের পর ভারতের সর্ব্বশ্রেষ্ঠ রাজনীতিক। ইনি উচ্চশ্রেণীর ব্রাহ্মণ ছিলেন। মৃত্যুর পূর্ব্বে এঁর খেদোক্তি ভারতবাসীমাত্রেরই প্রণিধানযোগ্য। আমরা নিম্নে তার কিয়দংশ উদ্ধৃত কর্ছি;—
“The longer one lives, observes and thinks, the more does one feel that there is no community on the face of the earth that suffers less from political evils