and more from self-inflicted or self-accepted or self created and therefore avoidable evils than the Hindu.”
‘যত মানুষ বেশী দিন বাঁচে, দেখে, ভাবে, ততই সে অনুভব করে যে ধরণীপৃষ্ঠে হিন্দুজাতি ছাড়া আর এমন কোনো জাতি নেই যারা পলিটিক্যাল বা রাষ্ট্রনীতিক দুঃখের চেয়ে আত্ম-অর্জ্জিত বা আত্ম-সৃষ্ট সুতরাং প্রতিকারসম্ভব দুঃখ বেশী ভোগ করে।’
ভারতবাসী “স্বখাদ সলিলে” ডুবে মরছে, আপনার পায়ে আপনি কুড়ুল মারছে। কোথায় তার অভাব, কোথায় আর দোষ, সমাজের নিষ্ঠুর মুষ্টি কোথায় তার গলা টিপে ধ’রে শ্বাসরোধ করে দিচ্ছে,—এসকল কথা বিচার ক’রে বুঝে আপনার উদ্ধারের পথ আপনিই নির্দ্ধারণ করতে হবে। অন্তরের দেবতা না জাগলে শুধু উত্তেজনার জ্বালায় এ দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে পারা যাবে কি? ছট্ফটানির একটা গতি আছে, কিন্তু তার দৌড় বেশীদূর নয়”।
মানুষের উন্নতির পথে যে বাধা-তা হয় ভিতরের, নয় বাহিরের। আমাদের জাতীয় প্রতিভা বিকাশের পক্ষে ভিতর ও বাহির দুই দিকের বাধাই প্রবল-শক্তিতে পথ আগ্লে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু অন্তর যার বাধানির্ম্মুক্ত তার কাছে বাহিরের বাধা কখনও সাংঘাতিক হয় না। বাহির যে অন্তরেরই প্রতিচ্ছবি। অন্তরে সত্যের আলোকে যা গ’ড়ে ওঠে, বাহিরে তার প্রতিষ্ঠা হবেই,— সে কোন বাধা মান্বে না। তাই আজ কঠোর আত্ম-পরীক্ষার প্রয়োজন হয়েছে। অন্তরে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হ’লে বাহিরের অধীনতা ঘুচ্বেই।
ভারত আজ দুঃখের অতুলস্পর্শ সাগরে ডুবে আছে, উঠতে পারছে না। আমি রাজনৈতিক আন্দোলনের সপক্ষে বা বিপক্ষে কোন কথা বল্বার উদ্যোগ কর্ছি না; নরম বা গরম কোন দলেরই আমি নই;