পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী থাকে এবং সেই ঘরে যদি একজন পরিচ্ছন্ন, তথাকথিত অস্পৃশুজাতীয় লোক প্রবেশ করে তবে চলিত প্রথাকুসারে এ জল অশুদ্ধ হইয়া যায়। কিন্তু কেন? শরীরের বা বংশের অপবিত্রতা কি অৰ্জুনের শর-সন্ধানের মত কলসীভর জল দেখিলেই তাহার মধ্যে প্রবেশ করিবে ? অথচ সোডা লিমনেড, ডাব, বরফ প্রভৃতিতে দোষ হয় না। কি সুন্দর সংস্কার! স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যদি শিক্ষা-দীক্ষায় যথেষ্ট তফাৎ থাকিয়া যায় তবে সংসারে শৃঙ্খলা ও স্বথের অভাব হইয় পড়ে। শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয়কে একবার জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম, অমুক ত এক জন অধ্যাপক, অসাধারণ পণ্ডিত—কলেজের ছুটী হ’লে এক দণ্ড বাড়ীতে থাকেন না-— অন্যত্র চলে যান কেন ? শাস্ত্রী মহাশয় বলিলেন, এটা বুঝতে পারলেন না ? বাড়ীতে সহধর্ম্মিণী এর মন আকৃষ্ট করে রাখতে পারেন না। হয়ত বেচারীর অর্থের অভাব, বই কিনতে পারে না—অথচ গৃহিণী বায়ন ধল্লেন, ব্রত করব, এ চাই, ও চাই—ব্রাহ্মণ ভোজন করাতে হবে ইত্যাদি। বিপদ এইখানে। পরস্পর পরস্পরের সহিত সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়া না চলিতে পারিলে একত্র বাস সুখকর হয় না । ছেলে বেলায় \দেখেছি, উকিল, ব্যারিষ্টারকে দরকার হইলে বাড়ীতে পাওয়া যাইত ন—তাসের আডড, খোস গল্পের আডডা বা পাশের বাড়ীতে খোজ করিতে হইত। কারণ ইংরাজীতে যাহাকে বলে amenities of home life তাহ তাহারা বাড়ীতে পাইতেন না। আমরা এই অবলাজাতিকে পিছু ফেলিয়, তাহাদিগকে অজ্ঞ ও মূর্খ রাখিয়া আগুয়ান হইতেছি— প্রকৃত পক্ষে তাহাদিগকে অ-বলা করিয়া রাখিয়াছি। আমাদের সর্ব্বনাশের স্বত্রপাত এইখানে । তারপর বিবাহ। আজকাল সংবাদপত্রের মারফতে পাত্র পাত্রীর সন্ধান লওয়া হয়। আজকার কাগজ হইতে উদ্ধৃত করিতেছি;—