পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯০
আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী

পদাঘাতে ডুবাইয়া দিই না? আড়াই কোটী বাঙালী হিন্দুর মধ্যে কয় জন বিধবাবিবাহে অগ্রণী। গত বৎসর পাঞ্জাবে ৮৭৫টী বিধবা-বিবাহ হইয়াছে। সার গঙ্গারাম তাঁহার জীবনের অর্জ্জিত অর্থ বিধবা-বিবাহ প্রচারকল্পে ও অন্যান্য সামাজিক সংস্কার কার্য্যে নিয়োজিত করিয়াছেন। আর বাংলাদেশে একজন বিধবার বিবাহ হইলে, সেই সংবাদ খবরের কাগজে ছাপা হয়, যেন কত বড় আশ্চর্য্য ব্যাপার। অনেক সময় পুরোহিতেরা বিধবা বিবাহে তাঁহাদের কর্ত্তব্য কর্ম্ম করেন না। সম্প্রতি কুমিল্লায় এইরূপ একটা ঘটনা হইয়াছে। ব্রাহ্মণ পাওয়া গেল না দেখিয়া প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী ও দাতা মহেশ ভট্টাচার্য্য বলিলেন—“আমি ত এক সময় পৌরোহিত্য করিয়াছি—কেহ না আসে আমিই বিবাহ দিব,” এবং দিলেনও।

 নৈতিক জীবন সুস্থ ও সবল থাকিলে সমাজের স্বাস্থ্য অক্ষুণ্ণ থাকে —সমাজের অধঃপতন হয় নৈতিক বলের অভাবে। ইতিহাসই ইহার প্রমাণ। গ্রীস এক সময়ে সভ্যতা, দর্শন, বিজ্ঞান, শিল্প ও সাহিত্যে আদর্শ ছিল। যে দেশে সক্রেটীস, আরিষ্টটল্, প্লেতো, হোমর প্রভৃতি জন্মগ্রহণ করিয়াছেন—সেই গ্রীস্ কি জন্যে রোমের পদানত হইল? একজন চিন্তাশীল লেখক কারণ দেখাইতেছেন—

 “The immediate cause of the decline of a society in the order of morals is a decline in the quantity of its conscience, a deadening of its moral sensitiveness, and not a depravation of its theoretical ethics. The Greeks became corrupt and enfeebled, not for lack of ethical science, but through the decay in the numbers of those who were actually alive to the reality and force of