৯
সাধনা ও সিদ্ধি
কথারম্ভে মহাত্মা রামমোহন রায়ের পবিত্র নাম গ্রহণ করি,—যাঁর সাধনায় বর্তমান ভারতের সকল প্রচেষ্টার সিদ্ধির বীজ উপ্ত হয়েছিল; যিনি নব্য ভারতের সৃষ্টিকর্ত্তা; অজ্ঞানকুসংস্কারাচ্ছন্ন অমানিশায় যিনি জ্ঞানের বর্ত্তিকা হস্তে জীবনের সকল পথে অগ্রসর হয়েছিলেন; ১০০ বৎসরেরও পূর্ব্বে যিনি জীবনবাঁশীতে জাগরণের সুর তুলে সুপ্ত দেশবাসীকে নূতন পথের পথিক হ’তে আহবান করেছিলেন; ধর্ম্ম, সমাজ ও রাজনীতিক্ষেত্রে যিনি সর্ব্বপ্রথম সংস্কার-চেষ্টা আরম্ভ করেছিলেন; আধুনিক বঙ্গভাষার একজন জন্মদাতা প্রাতঃস্মরণীয় সেই রাজা রামমোহন রায়! রামমোহনের সিদ্ধির মূলে ছিল তাঁর আজীবন সাধনা। সাধনা বিনা সিদ্ধি নাই, এই কথাই আজ আমি বাঙ্গালী যুবককে বড় আশা করে’ বল্তে এসেছি। আজ এই জীবনসন্ধ্যায় জীবনব্যাপী অভিজ্ঞতার ফলে আমি শিখেছি ওই একটা পরম সত্য-সাধনা বিনা সিদ্ধি নাই।
আজ বাঙালীকে এই পরম সত্যটি গ্রহণ কর্তে হবে—শুধু মুখস্থ করা নয়, শুধু স্বীকার করা নয়, একবারে অন্তরের অন্তরতম প্রদেশে গ্রহণ করে’ প্রতিষ্ঠিত কর্তে হবে। মহামতি গোখলে বলেছেন— What Bengal thinks to day, the whole of India thinks to-morrow—বাঙালীর মস্তিষ্কপ্রসূত চিন্তা সারা ভারত গ্রহণ করে। রামমোহনের সময় থেকে মস্তিষ্কচালনার ক্ষেত্রে বাঙালী অগ্রণী বলে’ গণ্য হয়ে এসেছে—বাঙ্লার কোলে অনেক ধর্ম্মসংস্কারক,