সমাজসংস্কারক; সুলেখক, বৈজ্ঞানিক, দেশবিশ্রুত বাগ্মী, জন্মগ্রহণ করেছেন—বঙ্কিম, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র প্রভৃতি এক এক ক্ষেত্রে এক একজন দিক্পাল বাঙ্লার বিজয়বৈজয়ন্তী উড়িয়ে দিয়েছেন। বাঙালী আণ্ডয়ান্ হয়ে চলেছে স্বীকার করি —তবু আজ একবার বাঙালী যুবককে কঠোর আত্মপরীক্ষা ক’রে দেখ্তে হবে, তার চরিত্রের গলদ কোথায়; অন্তরের কোন্ বাধাটা তার চলার পথে পথ আগ্লে দাঁড়িয়েছে।
সক্রেটিস্ বলেছেন, যারা আঠার বৎসর পার হয়েছে, তাদের উপদেশ দিয়ে কোন ফল নেই। তাই আমার বক্তব্য আজ দেশের যুবকবৃন্দের কাছে—যাঁরা আমাদের ভবিষ্যতের আশা—আমাদের হৃদয়ের ধন। এই সম্পর্কে আর এক কথা এই যে “ন ব্রূয়াৎ সত্যমপ্রিয়ম্”, এটা আমার কাছে নিতান্তই বাজে কথা;—আমি বলি “ব্রূয়াৎ সত্যমপ্রিয়ম্” অপ্রিয় সত্য বল্তে হবে- দেশবাসীকে প্রীতি নিবেদন করে’ খুব স্পষ্টভাবেই তাদের ভুল ভ্রান্তি দেখিয়ে দিতে হবে। পত্রাবরণে ভগ্ন স্থান লুকিয়ে রাখ্লে দুর্গ-প্রাচীরও সহজেই ভূমিসাৎ হয়ে যায়। ঢাক্লে অভাব ঘোচে না; অভাবকে সকল সময়েই মোচন কর্তে হয়; —আর তার জন্যে চাই কঠোর আত্মপরীক্ষা, আর তীব্র বেগবতী ইচ্ছাশক্তি।
দুই বৎসর পূর্ব্বে মান্দ্রাজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইসচ্যান্সেলর শ্রীযুক্ত শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার তাঁর বক্তৃতায় একস্থলে কতকগুলি মূল্যবান তথ্যপূর্ণ কথা বলেছিলেন। কথাগুলি এই যে, অনেক কষ্ট স্বীকার ক’রে এবং যথেষ্ট ধৈর্য্যসহকারে তিনি মান্দ্রাজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আঠার হাজার গ্রাজুয়েটের জীবনের ইতিহাস সংগ্রহ করেছিলেন। এঁদের মধ্যে ৩৭০০ জন সর্কারের চাক্রী করেছেন, তারও অধিক ইস্কুল