পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনা ও সিদ্ধি ఫిసి সরেস এম-এ। উচ্চশিক্ষিত যুবক হয়ত ম্যাট্‌সিনীর নাম শুনেছেন— গ্যাস্ত্রীবালডিকেও হয়ত মস্ত একটা বীর ব’লে জানেন কিন্তু কাবুলের কথা জিজ্ঞাসা করলেই মাথা চুলকাতে আরম্ভ করবেন। যদি প্রশ্ন করি আমেরিকায় অন্তর্বিবাদ ( Civil War ) কেন হ’ল—এ বিপ্লবে, কে কে রথী ছিলেন–লিঙ্কলন, জ্যাক্সন কে, কোন পক্ষ জয়ী হ’ল ? বিরোধের ফলাফলে দেশের লাভ লোক্সান কি হ’ল ? তাহলেই ফিলসফির ফাষ্ট ক্লাস এম এ একেবারে অবাক কুয়ে ই ক’রে মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবেন —এ-সব আবার কি *. প্রফেসারের কোনো নোটে ত এ-সব লাল নীল সবুজ পেন্সিলে দাগ দিয়ে কস্মিন কালে পাঠ করি নি । 多 總 চতুর্থবার বিলাত গিয়ে গতবৎসর এই সময় আমি হ্ৰদশে ফিরে । আসি সেখানে লণ্ডন, তুর্ক্সফোর্ড, কেন্থি,জ, বার্মিংহাম, লীড়স, এডিনবরা প্রভৃতি স্থানের বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। অনেকস্থলে এক একটা কলেজ এক একটা বিশ্ববিদ্যালয় । নানা বিদ্যানুশীলনের জন্য বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে আর প্রত্যেক বিভাগেই পচ ছয় জন ছাত্র সেই বিশেষ বিদ্যা সম্বন্ধে মৌলিক গবেষণ। করছেন। আর পর পর এমন বড় লোক ঐসকল বিদ্যামন্দির থেকে বাহির হয়ে আসছেন, যা ভাবলে আশ্চর্য্য হয়ে যেতে হয়। এদের অনেকে একটা বিশেষ বিষয়ের গবেষণার নেশায় ভরপূর হয়ে সার জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন। শ্রেষ্ঠ মনীষীগণ একের শূন্তস্থান অপরে পূরণ করছেন। আর 'এই-সকল বিষয়ের বৈচিত্রুই বা কি, একখানা “নেচার’ তুলে নিয়ে চোখ বুজে তার যে-কোন স্থান খুলে যুরোপে অমুশীলিত কত রকম বিদ্যার কত রকম রোজনামচা যে দেখতে পাওয়া যায় ; সেখানে কতশত অনুসন্ধান-সমিতি, বৈজ্ঞানিক,