পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৷৶৹

self-respect that men equally educated, doing the same kind of work and of equal calibre, should be ranked in two different services.”

 প্রফুল্লচন্দ্রের কার্য্যকালে মিঃ পেডলার (পরে সার), মিঃ পি, মুখার্জি, মিঃ ষ্টেপল্‌টম ও মিঃ ক্যানিংহাম যথাক্রমে প্রেসিডেন্সি কলেজের রাসায়নিক বিভাগে প্রধান অধ্যাপক ছিলেন। মিঃ পেডলার ও মিঃ মুখার্জি প্রফুল্লচন্দ্রকে অত্যন্ত প্রীতির চক্ষে দেখিতেন। মিঃ ষ্টেপল্‌টন কিছু ক্ষমতাপ্রিয় ছিলেন। মিঃ ক্যানিংহাম প্রফুল্লচন্দ্রের গুণমুগ্ধ ছিলেন এবং বাঙ্গালী ছাত্রগণকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন। ক্যানিংহামের চেষ্টায়, বাঙ্গালাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার যথেষ্ট উন্নতি হইয়াছে। প্রফুল্লচন্দ্রের উপরে তাঁহাকে সংস্থাপিত করায় তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হইয়া গভর্ণমেণ্টের কার্য্যের প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। ১৯১০ সালে তাঁহার মৃত্যু হয়। ক্যানিংহামের পর হইতে প্রফুল্লচন্দ্রের উপর প্রেসিডেন্সি কলেজের রাসায়নিক বিভাগের কর্ত্তৃত্বভার দেওয়া হয় এবং অবসর গ্রহণ না করা পর্য্যন্ত তিনি প্রধান অধ্যাপকের কাজ করিতেন।

 ১৯১২ সালে লণ্ডন নগরে বৃটিশ সাম্রাজ্যের যাবতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মহাসম্মেলন (Congress of the Universities of the Empire) হয়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হইতে ডাঃ প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও দেবপ্রসাদ সর্ব্বাধিকারী উহার প্রতিনিধি নির্ব্বাচিত হন। এই সম্মেলনে তাঁহারা বিশেষ যোগ্যতার সহিত ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ও ছাত্রগণের পক্ষ সমর্থন করিয়াছিলেন। তাঁহাদের যোগ্যতার পুরস্কার স্বরূপ এবার্ডিন বিশ্ববিদ্যালয় ডাঃ সর্ব্বাধিকারীকে এল, এল, ডি এবং ডার্হাম বিশ্ববিদ্যালয় ডাঃ রায়কে ডি-এস্-সি ডিগ্রী প্রদান করেন। এই বৎসর গভর্ণমেণ্টও প্রফুল্লচন্দ্রকে সি, আই, ই উপাধি প্রদান করিয়াছিলেন।