পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বঙ্গীয় যুবক-সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ জীবিকা অর্জ্জন
২২১

 আজকাল দেখা যায় শিল্প বাণিজ্য শিখিবার জন্য শত শত বাঙ্গালী যুবক ইউরোপ জাপান আমেরিকায় ছুটিতেছেন। তাঁহারা শিক্ষিতব্য বিষয়ে যতদূর পারেন জ্ঞানলাভ করিয়া স্বদেশে ফিরিয়া আসিয়া হতাশ হইয়া বেড়াইতেছেন। তুমি বস্ত্ররঞ্জনই (dyeing) শেখ, বৈদ্যুতিক পূর্ত্তকার্য্যই (electrical engineering) শেখ, কি কোন বিশেষ রাসায়নিক শ্রমশিল্পই (chemical industry) শেখ, যতদিন আমাদের দেশের লোক সেই সমস্ত ব্যাপারে (enterprise) প্রবৃত্ত না হইবে ততদিন এই বিদেশলব্ধ শিক্ষা কার্য্যকরী ও ফলবতী হইতে পারিবে না ও এই সকল লোকের কাজে লাগিবার কোন উপায়ই হইবে না। এমন কি স্বয়ং বিশ্বকর্ম্মাও যদি স্বর্গ হইতে আমাদের কল কারখানা নির্ম্মাণ করিবার জন্য অবতীর্ণ হ’ন তাহা হইলেও তিনি হার মানিয়া পলাইবেন। বঙ্গদেশে যত কল কারখানা, বলিতে গেলে সবই বৈদেশিকের হস্তে; তাঁহারা যে স্বজাতির মধ্য হইতে উচ্চপদস্থ কর্ম্মচারী, ইঞ্জিনিয়ার প্রভৃতি নির্ব্বাচন করিয়া লইবেন ইহাতো সহজ কথা। আমরা গতানুগতিক হইলে চলিবে না।

 উপসংহারে শুধু এই কথাই বলিতে চাই যে এই ভীষণ প্রতিযোগিতার দিনে আমাদের যুবকগণ বসিয়া থাকিলে অথবা নির্জীবভাবে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় পাশ ফেল গণনা করিলে চলিবে না। দেশে ছোট বড় অনেক চাকুরে লোক আছে তাহাদের বংশ বৃদ্ধি করা কখনও যুবকদের জীবনের লক্ষ্য হইতে পারে না। এ আশা, এ মায়া ত্যাগ করিতেই হইবে। একটী সবল, জীবন্ত যুবক


    ends, their sailors quit the ships and travel on to trade with India and China; they cross the Caucasus and the Ganges, and reach the Eastern Ocean.” Vide The Venetian Republic, page 81.