সমাজের দরকার হইয়াছে।[১] গণ্ডীছাড়া স্বাধীন শিক্ষা লাভের জন্য উৎসুক, কর্ম্মোৎসাহে চির নবীন যুবক সম্প্রদায় চাই; তাহারাই এ দেশকে নূতন করিয়া গড়িবে, নূতন মহিমায় মহিমান্বিত করিয়া তুলিবে। বঙ্গীয় যুবকসমাজের সম্মুখে এক বিষম সমস্যা উপস্থিত হইয়াছে। এই সমস্যার সমাধান যদি তাঁহাদের দ্বারা সম্ভবপর না হয় তাহা হইলে ভবিষ্যৎ বড় অন্ধকারময়। যদি এ প্রবন্ধে আমি কোথাও কঠোর কথা ব্যবহার করিয়া থাকি তবে তাহা ক্ষোভের বশবর্ত্তী হইয়াই করিয়াছি, আমার অন্য কোন উদ্দেশ্য নাই, থাকিতেও পারে না। যেমন নব রবিকিরণে উদ্ভাসিত তরুণ কিশলয়ের শোভা মনোমুগ্ধকর হইলেও আপনাকে বড় করিয়া তুলিবার তাহার একটা ক্ষমতা নাই তেমনি আমাদের দেশের যুবকবৃন্দের দুর্ব্বল স্বাস্থ্যের স্নিগ্ধ হাস্য দেখিয়া আমার একদিকে সহানুভূতি ও অন্যদিকে গভীর দুঃখ হয়। বিধাতার সৃষ্ট একটা জাতির পরিণাম কি এতই ভয়ানক হইবে? এমনি করিয়া কি দিন দিন নিশ্চেষ্টতা ও উৎসাহবিহীনতা বঙ্গের যুবকদিগকে গ্রাস করিতে থাকিবে? তাহা কখনই হইতে পারে না। তাঁহাদের জড়তা ত্যাগ করিতেই হইবে; তাঁহাদের উঠিয়া বসিয়া নূতন পন্থা অবলম্বন করিতেই হইবে। এ পথ ছাড়া আর কোনও পথ নাই। এ পথ অবলম্বন করিতে না পারিলে কেবল অনাহারে এতটা মস্তিষ্কশক্তিসম্পন্ন বাঙ্গালীজাতি লয় প্রাপ্ত হইবে।
- ↑ “ভগবান প্রকৃতিগত বৈচিত্র দিয়া মনুষ্য সৃজন করিয়াছেন তাহা আমরা ভুলিয়া যাই। প্রবীণ-পসারওয়ালা উকীল ভাবেন তাঁহার পুত্ত্র যতশীঘ্র পারে বি. এল, পাশ দিতে পারিলে “বাঁধা ঘর” ও মক্কেলদিগের নিকট তাহাকে পরিচিত করিয়া অবসর গ্রহণ করিবেন। কিন্তু দুর্ভাগা পুত্ত্রের মতি গতি ও রুচি অন্যদিকে। পিতা জোর করিয়া তাহাকে আইন পাশ করাইবেন। এই প্রকার কত tragedy আমি জানি বলা যায় না।