পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থ নৈতিক সমস্তী-বাঙালী কোথায় ? ২২৭ ৷ ট্যাঙ রায় কয়েক বছর আগে একটি চীনের সামান্ত দোকান দেখতাম, #** *RRI Munition Boardt#R Contract fR# sỹ czĩf* হযুে গেল। এখন তার ছোট ছোট অনেকগুলি Sawmill, বাঙালী পারে না কেন ? Railway Stationa #stf# sftÊ xR ## Rĩ# হিন্দুস্থানী। ধানের ক্ষেতের মধ্য দিয়ে গ্রামের অতি সন্নিকটে রেল গেছে। এক আধ পো মাইলের মধ্যে চাষীদের বাড়ী। তারা ইচ্ছা করলে ট্রেণের সময় মাল নামিয়ে ওঁ তুলে দিয়ে যেতে পারে। এতে অক্লেশে দৈনিক আনা রোজগার হতে পারে। কিন্তু তারা যে জুমির মালেক, অর কি এই ঘৃণিত কুলীগিরি করতে পারে । তাদের ইজ্জত সন্ত্রম বলে তো কিছু আছে ! এদিকে ঋণে ডুবুডুবু । অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অফলন তো আমাদের দেশের প্রায় স্বাভাবিক অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু রেলের লাইনের ধারেই ষ্টেসনে ষ্টেসনে 'হিন্দুস্থানীদের উপনিবেশ বসে গৈছে। এইরূপ শ্রমবিমুখতা ও আলস্তই আমাদের সকল দুৰ্গতির পশ্চাতে । কিছুদিন পূর্ব্বে আমতার নিকটে একটি পল্লীগ্রামে আমাকে কোন কার্য্য উপলক্ষে যাইতে হইয়াছিল। ষ্টেসন হইতে অনেক দূরে গন্তব্য স্থান অনেক কৃষ্টে পাৰী জুটিল কিন্তু বেহার মিলিল না। সেখানে গরীব চাষীর তো কোন অপ্রতুল দেখিলাম না। যদি দিন গুজরাণ করা অসাধ্যও হয় তবু পান্ধী বহা,—সে কি করিয়া হয় ! মধ্যবিত্ত ভদ্রশ্রেণীতেও দেখিতে পাই বাজার হইতে • আনার মাছ আনিতে হইলে /• আন কুলী ভাড়া বাবদ দেওয়া হয়—তবে সন্ধ্যার আঁধারে এদিক ওদিক তাকিয়ে নিয়ে আসা—সে স্বতন্ত্র কথা । এইরূপ false prestige বা মিথ্যা আত্মসন্মান জ্ঞানই আমাদের চরম দুৰ্গতির জন্য দায়ী। এই কুভাব আমাদের সমাজের স্তরে স্তরে অনুপ্রবিষ্ট হইয়াছে ।