ট্যাঙ্রায় কয়েক বছর আগে একটি চীনের সামান্য দোকান দেখ্তাম, যুদ্ধের সময় Munition Boardয়ের Contract নিয়ে বড় লোক হয়ে গেল। এখন তার ছোট ছোট অনেকগুলি Sawmill. বাঙালী পারে না কেন?
Railway Stationএ ষ্টীমার ঘাটে সব কুলী মজুর হিন্দুস্থানী। ধানের ক্ষেতের মধ্য দিয়ে গ্রামের অতি সন্নিকটে রেল গেছে। এক আধ পো মাইলের মধ্যে চাষীদের বাড়ী। তারা ইচ্ছা করলে ট্রেণের সময় মাল নামিয়ে ও তু’লে দিয়ে যেতে পারে। এতে অক্লেশে দৈনিক৷৷৹ আনা রোজগার হতে পারে। কিন্তু তারা যে জমির মালেক, তারা কি এই ঘৃণিত কুলীগিরি করতে পারে! তাদের ইজ্জত সম্ভ্রম বলে তো কিছু আছে! এদিকে ঋণে ডুবুডুবু। অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অফলন তো আমাদের দেশের প্রায় স্বাভাবিক অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু রেলের লাইনের ধারেই ষ্টেসনে ষ্টেসনে হিন্দুস্থানীদের উপনিবেশ বসে গেছে।
এইরূপ শ্রমবিমুখতা ও আলস্যই আমাদের সকল দুর্গতির পশ্চাতে। কিছুদিন পূর্ব্বে আমতার নিকটে একটি পল্লীগ্রামে আমাকে কোন কার্য্য উপলক্ষে যাইতে হইয়াছিল। ষ্টেসন হইতে অনেক দূরে গম্ভব্য স্থান। অনেক কষ্টে পাল্কী জুটিল কিন্তু বেহারা মিলিল না। সেখানে গরীব চাষীর তো কোন অপ্রতুল দেখিলাম না। যদি দিন গুজরান করা অসাধ্যও হয় তবু পাল্কী বহা,—সে কি করিয়া হয়! মধ্যবিত্ত ভদ্রশ্রেণীতেও দেখিতে পাই বাজার হইতে৷৷৹ আনার মাছ আনিতে হইলে ৵৹ আনা কুলী ভাড়া বাবদ দেওয়া হয়—তবে সন্ধ্যার আঁধারে এদিক ওদিক তাকিয়ে নিয়ে আসা—সে স্বতন্ত্র কথা। এইরূপ false prestige বা মিথ্যা আত্মসম্মান জ্ঞানই আমাদের চরম দুর্গতির জন্য দায়ী। এই কুভাব আমাদের সমাজের স্তরে স্তরে অনুপ্রবিষ্ট হইয়াছে।