অংশীদারে কখন গোলযোগ হচ্ছে না। এরা ছাতুখোর? আমাদের মস্তিষ্কে Phosphorus আর তাঁদের Cowdung?
শিক্ষালাভের গরবে আমরা নিজেদের সম্বন্ধে অযথা উচ্চ ধারণা পোষণ করি। আর সেই উচ্চশিক্ষাও কি প্রকারের তাহা আমি ‘সাধনা ও সিদ্ধি’তেই বলিয়াছি। আজকাল উচ্চ ডিগ্রিধারীর ইতিহাস ও ভূগোলের কোন জ্ঞান না থাকিলেও চলিতে পারে। বিজ্ঞানের কিছুমাত্র না জানিলেও উচ্চতম শিক্ষিত হইবার কোন বাধা নাই। এক প্রথম শ্রেণীর এম, এ, ভূগোলের সামান্য প্রশ্নও উত্তর দিতে পারেন নাই। তিনি Civil Service পরীক্ষা দিবেন হয় তো। Italian War of Independence কবে হয়েছিল এবং তাহার নেতা কে কে ছিল জিজ্ঞাসা করায় তাঁকে বিলক্ষণ বিপদে পড়তে হয়েছিল। American Civil War সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করায় বললেন সপ্তদশ শতাব্দীতে সেই যুদ্ধ হয়। এই প্রকার পণ্ডিত ও শিক্ষিত হবার জন্যই তো আমরা আমাদের সর্বস্ব পণ করিতেছি। আর মাড়োয়ারী, ভাটিয়াদের অশিক্ষিত ছাতুখোর বলিয়া ঘৃণা করিতেছি।
ভারতবর্ষের ইতিহাসে শিবাজী, আকবর, হায়দার আলি, রণজিৎ সিংহ প্রভৃতি Empire builder অনেকে প্রায় নিরক্ষর ছিলেন। রণজিতের কীর্ত্তি প্রত্যক্ষ করেছেন এমন লোক এখনো আছেন। আকবর লেখাপড়া জানিতেন কিনা সে সম্বন্ধে এখন তর্ক উঠছে। তিনি Great in War and in Peace ছিলেন। তাঁর সভায় তোডরমল্ল, যিনি বাঙলা দেশের রাজস্বের প্রথম ব্যবস্থা করেন, আবুল ফজল প্রভৃতি পণ্ডিত ও গুণীগণের যথেষ্ট সমাদর হইত। আকবর নিজে পক্ষীতত্ব অনুশীলনে যথেষ্ট আনন্দ পাইতেন। তাই বলিতেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা না পাইলেও শিক্ষিত হওয়া যায়। আমাদের