দেশে অনেক মহিলার প্রতিভার কথা বিশ্ববিদিত। নিয়মিত শিক্ষালাভ না করিয়াও কিরূপে আত্মোন্নতি করা সম্ভব হয় তাহা প্রাতঃস্মরণীয়া রাণী ভবানী, ভূপালের বেগম প্রভৃতির জীবন হইতেই জানিতে পারা যায়। Mill তাঁর Subjugation of Women নামক পুস্তকে এদের কথা লিখেছেন। রাণী ভবানী তো কেবল রামায়ণ ও মহাভারত কিছু কিছু আলোচনা কর্তেন কিন্তু তাঁর মেধা ও ধীশক্তি ছিল অসাধারণ।
আসল কথা, there is something rotten somewhere. বাবু সুন্দরমলের কথাই ধরুন। ইঁহার গিরিধি অঞ্চলে অভ্রখনি আছে। অনেক Geologyতে Ist class M. A. এর অধীনে prospect করে। এই সমস্ত কৃতবিদ্য বঙ্গজননীর সুসন্তানগণ দ্বারা হয় ইংরেজ নয় মাড়োয়ারীর অধীনে নক্রি করা ছাড়া আর কিছু হওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু ইহারা মাইকায় শতকরা কত ভাগ ম্যাগ্নেসিয়াম ইত্যাদি আছে কিছুই জানেন না এবং Geology ও Chemistryর কোন ধার ধারেন না—কিন্তু কেমন এঁদের দৃষ্টি এঁরা বুঝতে পারেন কোথায় কোন qualityর অভ্র পাওয়া যাবে। তাঁরা সেই সমস্ত স্থানের মৌরসি নিয়ে রাখেন আর আমাদের কৃতবিদ্যরা Chemistry, Geology পড়েই যাচ্ছে কিন্তু তাহা নিজের কাজে লাগান কদাচ সম্ভব হচ্ছে না। লেখাপড়া আমি ছাড়তে বলি না কিন্তু এর বিরুদ্ধে আমার অভিযোগগুলি আমি বলি। বাঙালী ছাত্র পাঠ্যাবস্থায় যা শেখে তার দশগুণ সেই সময়ে তার শেখা উচিত। ছাত্রেরা শুধু Syllabusএর দোহাই দিয়ে বসে থাকবে—অর্থাৎ কেবল পরীক্ষকদের চোখে ধূলো দেওয়াই হচ্ছে শিক্ষার উদ্দেশ্য। জ্ঞানার্জ্জনের দিকে দৃষ্টি কোথায়? Paradise lostএর এক অংশ, ভট্টির দু’সর্গ পড়লেই কৃতবিদ্য হওয়া যায় না। এই বান্ধা রাস্তা ছেড়ে তো ছাত্রেরা রেখামাত্র বিচলিত হবে না।